কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের আগুন রাত পৌনে ১০টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনায় ৯ হাজার ৬০০ ঘর পুড়ে গেছে। আগুনে পাঁচ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি।
কক্সবাজারের ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আতিকুর রহমান রাত ১১টার দিকে জানান, পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঁচজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো উদ্ধারে কাজ চলছে।
সোমবার বেলা তিনটার দিকে শিবিরের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে একের পর এক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে যায়।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা ইমদাদুল হক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চারটি ইউনিট কয়েক ঘণ্টা ধরে কাজ করে। রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকেরা একযোগে আগুন নেভানোর কাজ করেছেন। এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাল সকাল থেকে তাদের রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, বিকেলের দিকে আগুন লাগার পর দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ ঘর থেকে কোনো ধরনের মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি।