শুরুতে এগিয়ে গেলেও শেষটা সুন্দর হয়নি চেলসির। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের আনন্দে ডানা মেলেছে আর্সেনাল। রোমাঞ্চকর এক ফাইনাল জিতে এফএ কাপের সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডটাকে নিয়ে গেছে আরেকটু উঁচুতে। লন্ডনের দর্শকশূন্য ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার ফাইনালে দশজনের চেলসিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। সেমি-ফাইনালের পর ফাইনালেও জোড়া গোল করেছেন পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। চেলসির একমাত্র গোলদাতা ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ।
প্রতিযোগিতায় আর্সেনালের এটি চতুর্দশ শিরোপা। ২০১৬-১৭ মৌসুমেও চেলসিকে একই ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের ত্রয়োদশ শিরোপা জিতেছিল দলটি। ১৮৭১ সাল থেকে হয়ে আসা এই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সফল দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিরোপা জিতেছে ১২বার।
শুরু থেকে আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচে তৃতীয় মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত আর্সেনাল। কিন্তু পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের হেড জাল খুঁজে পায়নি।
ম্যাসন মাউন্টের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পঞ্চম মিনিটে এগিয়ে যায় ২০১৭-১৮ মৌসুমে সবশেষ এফএ কাপ জেতা চেলসি। অলিভিয়ে জিরুদের বাড়ানো বল ধরে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন পুলিসিচ। দশম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কিন্তু জর্জিনিয়োর তৈরি করে দেওয়া বলে পুলিসিকের এবারের প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
২৮তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে সমতা ফেরান আবামেয়াং। গ্যাবনের এই ফরোয়ার্ডকে সেসার আসপিলিকুয়েতা ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। ৬৭তম মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। আক্রমণে ওঠা এক্তর বেইয়েরিন বল হারানোর পর পেয়ে যান নিকোলাস পেপে। তার বাড়ানো ক্রস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন অবামেয়াং।
বাকিটা সময়ে আর সমতায় ফেরা গোলের দেখা পায়নি চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পেদ্রোর প্রচেষ্টা গোলরক্ষক আটকে দিলে এফএ কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধারের তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল।