টার্গেট মাত্র ২৩২। ফিঞ্চ-লাবুসানের ১০৭ রানের পার্টনারশিপে সহজ জয়ের স্বপ্নই তখন দেখেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ১০৮ বলে ৬ জুটির কাছে ৮৬ রানর টার্গেটটা মোটেও কঠিন মনে হয়নি। অথচ,ম্যানচেষ্টারে লো স্কোরিং এই ম্যাচটিতেই কি নাটকীয়ভাবে ফিরে এসেছে ইংল্যান্ড। তিন পেস বোলার আরচার (৩/৩৪),ওকস (৩/৩২), সাম কুরান (৩/৩৫ )-এর বোলিংয়ে ২৪ রানে জিতে সমতায় ফিরে শেষ ম্যাচকে ফাইনালে রূপ দিয়েছে ইংল্যান্ড।
ওকসের পর পর ২ ওভারে লাবুসান এবং ফিঞ্চ আউট হলে দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসে। ১৪৪ থেকে ১৪৭, এই তিন রানে ৪ ব্যাটসম্যান হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটা হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে যায়। ইনিংসের মাঝপথেই ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র ৩০ ওভারে (১১ থেকে ৪০) স্কোরশিটে ১২২ উঠতে ৬ ব্যাটসম্যান হারিয়ে শ্লগের কাজটা কঠিন করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের ধকল কাটিয়ে উঠে সিরিজে ফেরার শক্তিটা ব্যাটিংয়ে প্রদর্শন করতে পারেনি ইংল্যান্ড। স্টার্ক(২/৩৮),কামিন্স (১/৫৬), হেজেলউড (১/২৭)-এই তিন অজি পেসারে পাশে লেগ স্পিনার জাম্পা (৩/৩৬)-এই বোলিং বৈচিত্রের কাছে মাথা নুইয়েছে ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পায়নি চ্যালেঞ্জিং স্কোর। থেমেছে তারা ২৩১/৯তে।
প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যাটিং পাওয়ার প্লে তে হতাশ করেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ১০ ওভারে স্কোর উঠেছে তাদের ৩২/২। জো রুট টেস্ট মেজাজে ৫৩.৪২ স্ট্রাইক রেটে ৭৩ বলে ৩৯ রান করেছেন। হঠাৎ ছন্দপতন হওয়া বেয়ারস্ট ৭ বল কাটিয়ে রানহীন গেছেন ফিরে। সর্বশেষ টেস্ট এবং টি-২০ সিরিজের সেরা ব্যাটসম্যান বাটলারকে চেনাই যায়নি ( ৩)।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বিলিংস করেছেন বিরক্তিকর ব্যাটিং (২৮ বলে ৮)। ওকস চেষ্টা করেছেন অবশ্য (৩৯ বলে ২৬)। মরগান সেট হয়ে ফিরেছেন ৪২ রানে। তৃতীয় উইকেট জুটির ৬১ রানের পর ৯ম উইকেট জুটি যোগ করেছে ৭৬ রান।
ইংলিশ টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের লজ্জা দিয়েছেন টেল এন্ডার আদিল রশিদ (২৭ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৩৯ নট আউট ) ও টম কুরান ( ৩৯ বলে ৩৭)। অস্ট্রেলিয়ার সামনে টার্গেট ২৩২।এই নবম জুটির কল্যানেই শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিতভাবে ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড।
খুলনা গেজেট/এএমআর