নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ে শেষ হাসি হাসলো অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে ওয়ার্নার, মার্শের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে অজিরা। নিউ জিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ানডের সবচেয়ে সফলতম দল। বিশ্বকাপ জেতা হয়েছে পাঁচ পাঁচবার। অথচ তাদেরই নেই একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ! আগের ছয় আসরে একবারই সুযোগ এসেছিল। সেবার হাত ফসকে বেরিয়ে যায় শিরোপা। এবার আর কোনো ভুল নয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার অপেক্ষা ফুরালো অস্ট্রেলিয়ার।
নিউ জিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭২ রানের পুঁজি পেয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের অতিমানবীয় ৪৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংসটি ছিল চোখ ধাঁধানো। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের জবাবে ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া শেষ করে ৭৭ বল আগে।
দুবাইয়ে টস কে জেতেন- তাতে নজর ছিল সবার। টস ভাগ্য অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আসলে অনুমিতভাবেই প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় কিউইদের। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটিং তাণ্ডবের পরও কিউইদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭২ রান, ৪ উইকেট হারিয়ে।
২১ রানে জীবন পাওয়া উইলিয়ামসন মাত্র ৪৮ বলের মোকাবেলায় ৮৫ রান করে বিশ্বকাপ ফাইনালে অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েন। তার ইনিংসে ছিল দশটি চার ও তিনটি ছক্কা। তবে অন্যরা আশার প্রতিদান দিতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন মার্টিন গাপটিল, এজন্য তাকে খেলতে হয়েছে ৩৫ বল।
দুবাইয়ে টস কে জেতেন- তাতে নজর ছিল সবার। টস ভাগ্য অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আসলে অনুমিতভাবেই প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় কিউইদের। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটিং তাণ্ডবের পরও কিউইদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭২ রান, ৪ উইকেট হারিয়ে।
২১ রানে জীবন পাওয়া উইলিয়ামসন মাত্র ৪৮ বলের মোকাবেলায় ৮৫ রান করে বিশ্বকাপ ফাইনালে অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়েন। তার ইনিংসে ছিল দশটি চার ও তিনটি ছক্কা। তবে অন্যরা আশার প্রতিদান দিতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন মার্টিন গাপটিল, এজন্য তাকে খেলতে হয়েছে ৩৫ বল।
ফ্লাডলাইটের নিচে ১৭২ রান নিয়ে জিততে হলে বল হাতে আহামরি ভালো করতে হত নিউজিল্যান্ডকে। তবে ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শরা উইলিয়ামসনের দলকে সেই সুযোগই দেননি।
১৫ রানে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে হারিয়ে ফেললেও ওয়ার্নার ও মার্শ দাপটের সাথে ব্যাটিং চালিয়ে যান। এতে ধীরে ধীরে ম্যাচ কঠিন হয়ে পড়ে কিউইদের জন্য।
নিজের প্রথম ২ ওভারে ৫ রানের খরচায় ১ উইকেট শিকার করা বোল্ট অবশ্য ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন। ১৩তম ওভারে আবারও আক্রমণে এসে ফেরান ওয়ার্নারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৮ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৩ রান করেন এই তারকা ওপেনার।
এরপর আর কোনো বিপদ ঘটেনি অস্ট্রেলিয়ার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সাথে নিয়ে মার্শ দলকে নিয়ে যান অভীষ্ট লক্ষ্যে। ৭ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে অজিরা শিরোপা নিশ্চিত করে। মার্শ ৫০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন, হাঁকান ছয়টি চার ও চারটি ছক্কা। ১৮ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : অস্ট্রেলিয়া
নিউজিল্যান্ড : ১৭২/৪ (২০ ওভার)
উইলিয়ামসন ৮৫, গাপটিল ২৮, ফিলিপস ১৮
হ্যাজলউড ১৬/৩, জাম্পা ২৬/১
অস্ট্রেলিয়া : ১৭৩/২ (১৮.৫ ওভার)
মার্শ ৭৭*, ওয়ার্নার ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ২৮*
বোল্ট ১৮/২
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
খুলনা গেজেট /এমএম