প্রথম ইউরোপিয়ান হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দুর্দান্ত ফ্রি কিক থেকে মাইলফলকে পৌঁছানোর পর করেন আরো একটি গোল। তার জোড়া গোলে নেশনস লিগে সুইডেনকে ২-০ গোলে হারাল পর্তুগাল। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলো পর্তুগাল।
ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন রোনালদো। ইরানের আলী দাইয়ির সর্বোচ্চ ১০৯ গোলের রেকর্ড ছুঁতে রোনালদোর দরকার আর ৮ গোল।
গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করতে রোনালদো খেললেন ১৬৫ ম্যাচ। আলি দাইয়ি ১০৯ গোল করেছিলেন ১৪৯ ম্যাচে। তার রেকর্ডটি অনেকদিন ধরেই ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ফেরেঙ্ক পুসকাসের ৮৪ গোলের রেকর্ড রোনালদো বহু আগেই পার করেছিলেন। এখন দাইয়ির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছোঁয়াটা রোনালদোর জন্য সময়ের ব্যাপারই। রোনালদোর বয়স এখন ৩৫। এ বছর অক্টোবর ও নভেম্বরে আরও চারটি ম্যাচ খেলবে পর্তুগাল। পরের বছর মার্চে বিশ্বকাপ বাছাই, এরপর ইউরোও আছে জুন নাগাদ। প্রায় এক বছর ৯৯ তে অপেক্ষা করার পর দাইয়ির রেকর্ড ভাঙতে তাই খুব বেশি সময়ও হয়ত লাগবে না রোনালদোর!
নেশনস লিগে পর্তুগালের আগের ম্যাচে খেলেননি রোনালদো। চোট কাটিয়ে ফিরেছিলেন সুইডেনের বিপক্ষে। স্টকহোমে রোনালদো, হোয়াও ফেলিক্স, বের্নার্দো সিলভারা একসঙ্গে শুরু করলেও ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের মতো দাপট দেখাতে পারছিল না পর্তুগাল। বরং সুইডেন বেশ কয়েকটি আক্রমণ সাজিয়ে পর্তুগালকে কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে বাধ্য করে যাচ্ছিল। এর ওপর সিলভা চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে খানিকটা ঝামেলাতেই পড়তে হয় ফার্নান্দো সান্তোসের দলকে।
রোনালদোর ফ্রি-কিক গোলের আগে পর্তুগাল অবশ্য দুইটি ভালো সুযোগও পেয়েছিল। প্রথমটি পেয়েছিলেন পেপে। দূরের পোস্ট থেকে জালে বল জড়াতে পারেননি তিনি। পরে রোনালদোই গোলরক্ষক রবিন ওলসেনের কাছের পোস্টে করা সেভে আটকে যান। বিরতির ঠিক আগে গুস্তাভ সেভেনসন হোয়াও মুটিনহোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর সুইডেন পরিণত হয় দশ জনের দলে। ওই ফ্রি-কিক থেকেই সরাসরি বলে জাল জড়ান রোনালদো।
ক্যারিয়ারের ৫৭ তম আর পর্তুগালের হয়ে দশম ফ্রি-কিক গোলের পরও রোনালদোকে আর থামাতে পারেনি সুইডেন। চোট কাটিয়ে ফিরে ৮১ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন রোনালদো। এর মাঝে আরেকবার নিজের অতিমানবীয় রেকর্ডটায় শান দিয়েছেন তিনি। ৭২ মিনিটে রোনালদো দ্বিতীয় গোল করেছেন বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আরেকটি দারুণ শটে। সে দফায় বাম পাস থেকে পাওয়া পাসে বক্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে পায়ের শটে টপ কর্নারে বল জড়িয়েছেন রোনালদো।
খুলনা গেজেট/এএমআর