বিএনপির বিভাগীয় রোড মার্চে বিপুল সংখ্যক উপস্থিতি এবং ‘কর্মসূচি সফল’ হওয়ায় উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে প্রায় এক দশক পরে নগরীর শিববাড়ি মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমাবেশের আয়োজন, নগরীর মোড়ে ও সড়কে ব্যানার ফেস্টুন লাগানো এবং আলোকসজ্জাকে সফলতা হিসেবে দেখছে তারা। বাঁধাহীন এই আয়োজনে কর্মীদের মনোবল বেড়েছে বলে বিএনপি নেতাদের দাবি।
এদিকে রোড মার্চেও বড় ধরনের শো-ডাউন করেছে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু অনুসারীরা। রোড মার্চে ৫ থানা বিএনপির সাবেক নেতারা পৃথক মিছিল নিয়ে অংশ নেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির খুলনা বিভাগীয় রোড মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন সকাল ১০টায় ঝিনাইদহ থেকে রোড মার্চ শুরু হয়ে মাগুরা ও যশোর হয়ে ১৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রোডমার্চ রাত পৌনে ৯টায় পৌঁছায় খুলনায়। খুলনার সমাবেশে যোগ দেন খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশের মূল সমাবেশ ছিলো খুলনায়। খুলনার নেতারা গাড়িবহরে যোগ না দিলেও সমাবেশের মূল আয়োজনে ছিলো। তাদের সঙ্গে আশপাশের জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে সমাবেশকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।
রোড মার্চ ঘিরে গত কয়েকদিন নগরীতে আলোকসজ্জা করা হয়। নির্মাণ করা হয় দুই শতাধিক তোরণ। লাগানো হয় সহ¯্রাধিক ফেস্টুন ও বিলবোর্ড। গত একদশক সড়কের ফেস্টুন বিলবোর্ডে সরকারি দলের নেতাদের ছবি দেখে অভ্যস্ত ছিলেন নগরীর মানুষ। দীর্ঘদিন পর সেখানে বিএনপি নেতাদের ছবি দেখে নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে ওঠেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, রোড মার্চ ও সমাবেশ শতভাগ সফল হয়েছে। এতে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হয়েছে। আগামী দিনে এর থেকেও বড় কর্মসূচি সফল করতে সক্ষম খুলনার কর্মীরা।
॥ মঞ্জু অনুসারীদের শোডাউন ॥
রোড মার্চের কর্মসূচিতেও বড় শোডাউন দিয়েছে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু গ্রুপের অনুসারিরা। ব্যানার-ফেস্টুনে সজ্জিত পিকআপ, খালেদা জিয়া ও মঞ্জু’র ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড প্রভৃতি নিয়ে মহানগর ও ৫ থানা বিএনপির সাবেক নেতারা বিকাল ৪টায় নিউমার্কেটের সামনে বায়তুন নূর চত্বরে সমবেত হন।
বিকাল সোয়া ৫টার দিকে বিশাল মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি জোড়াগেট মোড় ও সঙ্গীতা সিনেমা হলের মোড় প্রদক্ষিণ করে। এরপর তারা সমাবেশস্থলের অদূরে প্রধান সড়কের পাশে ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন। রোডমার্চের বহর আসা ও সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচিতে ছিলেন তারা।
তবে এই গ্রুপের অনুসারিরা এবার কেউ মঞ্চের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেননি। এর আগে গত ১৭ জুলাই নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশের দিন মঞ্চের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছিলেন মঞ্জু গ্রুপের অনুসারিরা। অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা তাদেরকে মারধর ও ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছিল। সে কারণে এবার মঞ্জু গ্রুপের অনুসারিরা মঞ্চের কাছাকাছি যাননি।
॥ বিএনপির কৃতজ্ঞতা ॥
বিভাগীয় রোডমার্চ কর্মসূচির সফল করায় খুলনাবাসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে খুলনা বিএনপি। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের পক্ষ থেকে এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে খুলনাবাসী, বিএনপি ও অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
আগামী দিনেও বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে খুলনাবাসী বিএনপির সঙ্গে থাকবে বলে নেতারা বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ একই সাথে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল কারী হেলাল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এইচ হিমালয়