খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

রোগী দেখতে গিয়ে যে দু’য়া পড়বেন

মুফতী মাহমুদ হাসান

সুস্থতা-অসুস্থতা মিলেই মানুষের জীবন। আমরা চাই সুস্থ থাকতে। সুস্থ থাকতে আমরা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। তারপরও আমাদের মধ্যে অনেকেই কখনো না কখনো শারীরিক অসুখে আক্রান্ত হয়। ইসলামে অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ খবর নেয়া, দেখতে যাওয়া, সেবাশুশ্রুষা করার গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

হাদীস শরীফে রোগী দেখার অসংখ্য ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শোনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, সত্তর হাজার ফেরেশতা বিকাল পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর বিকেলে রোগী দেখতে গেলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করে…। (সুনানে তিরমিজি: ৯৬৭)

রোগী দেখতে গিয়ে করণিয় হলো তার সুস্থতার জন্য দু’য়া করা। হাদীসে রোগী দেখার অনেক দু’য়া বর্ণিত হয়েছে। আসুন তন্মধ্যে অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ দুটি দু’য়া শিখেনেই।

প্রথম দু’য়া:
রোগীর কাছে গিয়ে সাত বার নিচের দু’য়াটি পড়বেন,
أسأل الله العظيم رب العرش العظيم أن
يشفيك.
উচ্চারণ:আসআলুল্লাহাল আজিমা, রাব্বাল আরশিল আজিমি, আঁইয়্যাশফিয়াক’।

অর্থ:`আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য (সুস্থতা) প্রার্থনা করছি`

দু’য়াটির ফজিলত:
এই দু’য়া ফজিলত সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে,
عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم:من عاد مريضاً لم يحضر أجله فقال عنده سبع مرارٍ: أسأل الله العظيم رب العرش العظيم أن يشفيك، إلا عافاه الله من ذلك المرض.
أخرجه أبو داود ٣١٠٦، والترمذي ٢٠٨٣،والنسائي في عمل اليوم والليلة ١٠٤٨,

অর্থ: হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন কোনো রুগ্ন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, যার এখনো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দোয়াটি বলবে: আসআলুল্লাহাল আজিমা, রাব্বাল আরশিল আজিমি, আঁইয়্যাশফিয়াক’ আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।’ (আবু দাউদ শরীফ ৩১০৬, তিরমজি শরীফ ২০৮৩, নাসায়ী শরীফ ১০৪৮)

দ্বিতীয় দু’য়া: 

রোগী দেখে নিচের দু’য়াটি পড়বেন।
الحمد لله الذي عافاني مما ابتلاك به و فضلني على كثير من خلقه تفضيلا.

উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আ-ফানি মিম্মাবতালাকা বিহি ওয়া ফাদদলানি আলা কাছিরিম মিম্মান খলাকা তাফদ্বীলা।’

অর্থ : ‘সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, তিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং তার অসংখ্য সৃষ্টির ওপর আমাকে সম্মান দান করেছেন।’

দু’য়াটির ফজিলত:
যে ব্যক্তি কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে এই দু’য়া পড়বে সে ওই ব্যাধিতে কখনো আক্রান্ত হবে না। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেন।
و عن أبي هريرة رضي الله عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ” من رأى مبتلى فقال : الحمد لله الذي عافاني مما ابتلاك به و فضلني على كثير من خلقه تفضيلا. لم يصيبه ذلك البلاء ” قال الترمذي حديث حسن- الترمذی ٣٤٣٢,

অর্থ: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে প্রত্যক্ষ করে বলে, ‘ আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আ-ফানি মিম্মাবতালাকা বিহি ওয়া ফাদদলানি আলা কাছিরিম মিম্মান খলাকা তাফদিলা’, সে ওই ব্যাধিতে কখনো আক্রান্ত হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৩২)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ফজিলত বুঝে আমল করার তাওফিক দিক। আমীন।

লেখক : দারুল হাদীস (এম.এ,ইসলামিক স্টাডিস) জামিয়াতুল আবরার বসুন্ধরা ঢাকা।
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ (অনার্স), ঢাকা।
দারুল ইফতা (ইসলামিক আইন ও গবেষণা বিভাগ), ঢাকা।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!