বিদেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা মুক্তির বয়স ৪৮ বছর। এমন সময় পালিত বাবা জানায় তার আসল পরিচয়। মুক্তি জেনে যায় সে একজন বীরাঙ্গনার সন্তান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধশিশু সে। মায়ের খোঁজে মুক্তি আসে বাংলাদেশে। দেখা হয় রোকেয়া নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে। বের হয়ে আসে ইতিহাসের গভীরে চাপা পড়া নানা সত্য ঘটনা। এ রকম কাহিনি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘জননী ও জন্মভূমি’। আগামী ডিসেম্বর মাসে ছোট পর্দায় আসতে যাচ্ছে।
মুক্তি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারজানা ছবি। আর বীরাঙ্গনা রোকেয়ার ভূমিকায় দেখা দেবেন আনোয়ারা বেগম। আনোয়ারা জানান, করোনাকালে দীর্ঘদিন তিনি কোনো কাজ করেননি। তবে এই সিনেমার চিত্রনাট্য পড়ার পর রোকেয়া চরিত্রটি তাঁর মনে ধরে। ‘প্রত্যেক শিল্পীরই এমন সব চরিত্রের জন্য ক্ষুধা থাকে। নিজেকে অন্য রকমভাবে দেখতে ইচ্ছা করে। তাই কাজটি করে ফেললাম,’ বললেন আনোয়ারা।
ফারজানা ছবি জানান, মুক্তি চরিত্রের ভেতর দিয়ে দর্শক বাংলাদেশ, দেশের ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে দেখতে পাবেন।
পরিচালকের প্রশংসাও ঝরে পড়ল এই অভিনেত্রীর কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘নাদিয়া আফরিন অত্যন্ত পরিশ্রমী নির্মাতা। তিনি যেভাবে মুক্তি চরিত্রটা নিয়ে আমার কাছে হাজির হয়েছিলেন, আমি যেন চরিত্রটাকে চোখের সামনে দেখতে পারছিলাম। কাজটা করে শান্তি পেয়েছি।’
সিনেমাটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন নাদিয়া আফরিন। এটিই এই নির্মাতার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ছবিটি এখন কোন অবস্থায় আছে, জানতে চাইলে এই পরিচালক বললেন, ‘শুটিং প্রায় শেষ। সম্পাদনার কাজ শুরু হয়ে গেছে। কেননা ১৬ ডিসেম্বর আমরা ছবিটি কোনো একটি চ্যানেলে প্রিমিয়ার করার কথা ভাবছি। এরপর আস্তে-ধীরে সময়-সুযোগ বুঝে বড় পর্দায় মুক্তি দেব। কিছু শুটিং বাকি রয়েছে। সেটা যত দ্রুত সম্ভব করে ফেলব।’
এই চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন মাহমুদ সাজ্জাদ, শেলী আহ্সান, বড়দা মিঠু, পীরজাদা হারুন, তনামী হক, আয়েশা নাফিসা, শরীফ খান, সায়েম সামাদ, নাসিরুদ্দিন খান, হেলাল মাহমুদ, হিমেল, ঐশী, কাঁকন চৌধুরীসহ অনেকেই। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় এবং গাজীপুর, টাঙ্গাইল, যমুনা নদী ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে শুটিং হয়েছে ছবিটির।
খুলনা গেজেট / এআর