এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, লিওনেল মেসি ও ভাউট বেগহোর্স্টের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে আলোচনায় ছিলেন আরও একজন-স্প্যানিশ রেফারি আন্তনিও মাতেও লাহজ। পুরো ম্যাচে তিনি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নিয়ে অসন্তুষ্ট দুই দলই। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা।
আন্তনিও পুরো ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন ১৮টি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। ডাচ ও আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের কার্ড দেখিয়েছেন সমান ৮টি করে। এমনকি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি ও সহকারী ওয়াল্টার স্যামুয়েলকেও।
বিশ্বকাপের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ম্যাচ হিসেবে ধরা হয় ‘ব্যাটল অব সান্তিয়াগো’কে। ১৯৬২ বিশ্বকাপের সে ম্যাচে এতটাই সহিংসতা ছিল যে, সেই ম্যাচের রেফারি কেন অ্যাস্টন বলেছিলেন, ‘আমি কোনো ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করছিলাম না, আমি যেন মিলিটারি অপারেশনে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম।
বিবিসির ডেভিড কোলম্যান সেই ম্যাচটিকে আখ্যা দিয়েছিলেন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে অর্থহীন, আতঙ্কজনক, ন্যক্কারজনক এবং মর্যাদাহানিকর প্রদর্শনী হিসেবে। সেই ‘ব্যাটল অব সান্তিয়াগোতে’ও রেফারি ১৮টি হলুদ কার্ড দেখাননি। তাই স্বাভাবিকভাবে এই স্প্যানিশ রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসিও তাই চুপ থাকেননি। ধুয়ে দিয়েছেন এই স্প্যানিশ রেফারিকে, ‘রেফারি সম্পর্কে কথা বলতে চাই না। মানুষ দেখেছে কী হয়েছে। ফিফার এটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যে নিজের কাজটা ভালোভাবে জানে না, এত গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে তাকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত না। আমরা খুব একটা ভালো খেলিনি। সঙ্গে রেফারির কারণেই অতিরিক্ত সময়ে খেলা পৌঁছেছে। সে সব সময় আমাদের বিপক্ষে ছিল। এমনকি যে গোলটি দিয়ে সমতায় ফিরেছে ওরা, সেটাও ফাউল ছিল না।’
টাইব্রেকারে পেনাল্টি সেভ করে নায়ক বনে যাওয়া মার্তিনেজও মেসির সুরেই সুর মিলিয়েছেন। তিনি আশা করছেন, সামনের ম্যাচগুলোতে এমন কোনো রেফারিকে দেখা যাবে না, ‘রেফারি ডি বক্সের সামনে কয়েকবার ফ্রি কিক দিয়েছেন। সে চেয়েছিল যেন নেদারল্যান্ডস গোল করে। আশা করছি, এ ধরনের রেফারি সামনে আর পাব না। সে একটা অপদার্থ।’ এ নিয়ে ফিফার কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়ার যায়নি।