যশোরে টানা ভারী বৃষ্টিপাতে শহর প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে মানুষ পড়েছে মহাদুর্ভোগে। গত ১৮ ঘন্টায় জেলায় ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর।
টানা তিন দিনের মুষলধারের বৃষ্টিতে শহর ও শহরতলি প্লাবিত হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ভরা জোয়ারের পানি আছড়ে পড়ছে। শহর ও শহরতলিতে ঘরের বাইরে শুকনো কোনো জায়গা নেই বললেই চলে। ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও শহরের অনেক নীচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার বিকেল থেকে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত যশোরে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
এতে যশোর পৌর শহরের কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সকল এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। টানা বর্ষণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয় ও জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ। রোববার সকাল থেকে শহর ঘুরে দেখা গেছে, ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে যশোর পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল। বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের বেজপাড়া, টিবি ক্লিনিকপাড়া, স্টেডিয়ামপাড়া, শংকরপুর, মিশনপাড়া, উপশহর, চাঁচড়া, কারবালা, এমএম কলেজ এলাকা, নাজিরশংকরপুর, বকচর, আবরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৩০টি সড়ক।
এর মধ্যে শংকরপুর, বেজপাড়া, খড়কি, কারবালা, স্টেডিয়ামপাড়ার অনেক বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার ড্রেন ছাপিয়ে উপচে পড়া পানি সড়ক পার হয়ে ঘরের মধ্যেও ঢুকে পড়েছে। জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে এসকল এলাকার মানুষেরা।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত এবং রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এই ধারা অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকেই যশোরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কখনো ভারী, কখনো হালকা এই বৃষ্টিপাত শনিবার বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। টানা এ বৃষ্টিপাতে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমএম