বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর তথ্য মতে, বিশ্বে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে মানবিক কর্মীদের ওপর হামলার হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ শতাংশ। পক্ষান্তরে, মানবিক কর্মীদের সাথে দৃষ্টান্তমূলক আচরণের নজির বাংলাদেশে।
মানবিক কর্মীরা দু:স্থদের খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য এমনকি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। অথচ, বিশ্বব্যাপী নেই তাদের নিরাপত্তা। অন্যের প্রাণ বাঁচাতে দিতে হচ্ছে নিজেদের জীবন। ‘এইড ওয়ার্কার সিকিউরিটি ডাটাবেজ’ এর তথ্য মতে, ২০১৯ সাল ছিল মানবিক কর্মীদের জন্য সর্বাধিক হিংসাত্মক। যেখানে আক্রমণের শিকার হন ৪৮৩ জন, ১২৫ জন নিহত, ২৩৪ জন আহত এবং ১২৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। যা কিনা ২০১৮ সালের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি এবং এমন ঘটনা সিরিয়াতে ঘটেছে সর্বাধিক।
পক্ষান্তরে, বাংলাদেশে এ চিত্র একদমই ভিন্ন। গত ১৯ আগস্ট বিশ্ব মানবিক দিবসে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা, রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং শিশু ও নারী অধিকার নিশ্চিতে অসামান্য অবদান রাখায় বাংলাদেশের ৪ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ‘বাস্তব জীবনের নায়ক’ উপাধি দিয়েছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশের অধিকাংশ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মতে, তাদের কোনো কর্মীর ওপর কখনোই কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে ২০১৯ সালের বাংলাদেশ সেরা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাঁধন’ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান সূর্য বলেন, “সূচনালগ্ন থেকে বাঁধন কর্মীদের সাথে এমন কোনো ঘটনার কথা শোনা যায় না। বরং, বাংলাদেশের মানুষ স্বেচ্ছাসেবীদের ভালোবাসা ও আস্থার চোখে দেখে”।
‘খুলনা ব্লাড ব্যাংক, এর প্রতিষ্ঠাতা সালেহ উদ্দিন সবুজ জানান, “করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বহুবার হুমকির শিকার হয়েছি, কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমাদের ওপর কখনো হামলা হয়নি”। এছাড়াও ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন’ জানায়, তাদের কোনো কর্মীর সাথে কখনোই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, ‘ফুড ব্যাংকিং খুলনা কল্যাণ সংস্থা’র প্রতিষ্টাতা সভাপতি শাহরিয়ার কবির মেঘ বলেন, “প্রশাসন সর্বদা খুবই হেল্পফুল। আমরা পুলিশের মাধ্যমেও বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে থাকি”।
উল্লেখ্য, মানবতাকর্মীদের ওপর সকল হামলার প্রতি নিন্দা প্রকাশ করে ও বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানবিক কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে গত ১৯ আগস্ট জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ১১ তম বিশ্ব মানবিক দিবস পালন করে।