খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম জাবুসা এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর মোল্লা বাবু’র সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষক যাতে আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে কোন ভাবেই বেরিয়ে যেতে না পারে- সেজন্য পুলিশ ও মামলার বাদি-স্বাক্ষীসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে নির্যাতনের শিকার শিশুর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জেলা নারী ও শিশু অধিকার রক্ষা ফোরাম নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফোরাম নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগ-জনকহারে বেড়েছে। অথচ এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অধিকাংশই পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা পূণরায় অপরাধ করতে সাহস পাচ্ছে। কিন্তু দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অপরাধের মাত্রা অনেকটাই কমে আসতো। নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী সংঘঠিত নারী-শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত সকল ঘটনার বিচার দাবি করেন। নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম ফোরামের পক্ষ থেকে নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে সব ধরনের আইনি সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি, কেসিসি’র সাবেক মেয়র ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মহিলাদল নেত্রী রেহানা ঈসা, বিএনপি নেতা মো. আবদুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আবু হোসেন বাবু, চৌধূরী হাসানুর রশীদ মিরাজ, , মাহবুব আলম বাদশা, গৌতম দে হারু, ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ওহিদুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, আরিফ হোসেন, ফোরাম নেত্রী রোজি রহমান, সাবেক কাউন্সিলর হাসনাহেনা, আনজিরা খাতুন, কাকন, কাওছারী জাহান মঞ্জু, শাহানা পারভীন শিল্পী, জাহিদুল ইসলাম রবি, মাহফুজুর রহমান, সোহেল রানা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী জাবুসায় তার খারার বাসায় বেড়াতে এসে ২৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতিবেশি বখাটে ফজর মোল্লা বাবু শিশুটিকে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের দায়েরকৃত মামলায় ধর্ষক বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে, এ ঘটনার পর ধর্ষকের ভাই ইউনুসসহ তার স্বজনরা মামলা তুলে নিতে নির্যাতিত শিশুর পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খুলনা গেজেট/ কে এম