রূপসার শিয়ালী মধ্যপাড়া এলাকার চিত্তরঞ্জন বালা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি সমীর বালা। রোববার খুলনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ আদালতের বিচারক মো: মোস্তাফিজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো: মোস্তাফা কামাল বলেন, বাড়ির পিছনের এক শতক জমি নিয়ে সমীর বালা ও চিত্তরঞ্জন বালার মধ্যে বিরোধ দীঘদিনের। ১০ বছর আগেও একবার বিরোধ দেখা দিলে তা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়। ওই এক শতক জমি চিত্তরঞ্জনের আগের শরীকের কাছ থেকে কিনে নেয় সমীর বালা।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে চিত্তরঞ্জন ও সমীর বালার বাড়ির পিছনের একটি খাল থেকে কয়েকজন শ্রমিক মাটি উঠাতে থাকে। এসময় সমীর বালা তাদের উদ্দেশ্যে করে কিছু মাটি একটি গাছের গোড়া দিতে বললে চিত্তরঞ্জন বালা অকথ্য ভাষায় তাকে গালাগালি করে। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে মেহগুনি গাছের লাঠি দিয়ে চিত্তরঞ্জন বলার বাম হাতে আঘাত করে সমীর বালা। পরে ভিকটিম আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় তার পরিবার। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ওই দিন সমীর ও তার ছেলে সনৎ বালার বিরুদ্ধে নিহতের ছোট ছেলে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আটক করা হয় সনৎ বালাকে। আর সন্ধ্যায় র্যাবের হাতে আটক হয় সমীর বালা। রাতে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের বিবরণ তুলে ধরে পুলিশের কাছে। সমীর বালা ওই এলাকার সুধীর বালার ছেলে। কাজদিয়া রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখকের কাজ করে সে।
আসামি সনৎ বালা তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালী টেকনিক্যাল এন্ড বিজ্ঞান ম্যানেজমেন্ট কলেজের কম্পিউটার অপারেশন শাখার প্রভাষক। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বলেন, প্রতিবেশী এক ছোটভাই তাকে জানায় বাবার সাথে চিত্তরঞ্জন কাকার মারামারি হচ্ছে। বাড়ি গিয়ে দেখি কাকা মাটিতে পড়ে আছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েও আসেন তিনি। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। বাবা থানায় উপস্থিত হলে তাকে ছাড়া হবে বলা হয়। কিন্তু পরে জানতে পারেন তাকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।