খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ আজ
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

রূপসায় সংঘাত চলছেই, ৩ দিনে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি ২৭ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার রূপসা উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা চলছেই। সংঘাতে আহত হয়ে গত ৩ দিনে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। শুক্রবার বিকালেই গুরুতর জখম হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। এর মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদারের মা, স্ত্রী ও ছোট সন্তান রয়েছেন। ভাংচুর হয়েছে জাবুসা, মৈশাঘুনি, বাধাঁল, জোয়ার গ্রামের অন্তত ১৫/২০টি বাড়িতে।

আহতরা সবাই রূপসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী অধ্যক্ষ ফেরদৌস সরদারের পক্ষে মাঠে ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবিব বিজয়ী হন। তিনি ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধেই হামলা, বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন আহতরা। অবশ্য এস এম হাবিবের অনুসারীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

প্রতিদিনই হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর চলমান থাকায় রক্তপাত এড়াতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অধ্যক্ষ ফেরদৌস সরদার। শুক্রবার চিঠি দিয়ে হামলা ও ভাংচুরের বিবরণ তুলে ধরে গ্রামগুলো পুলিশ মোতায়েন এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কোনো ভূমিকা দৃশ্যমান হয়নি।

শুক্রবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, মাথা, পিঠে, হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত গুরুতর জখম হয়েছেন অনেকে। কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতরা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

পরাজিত প্রার্থী ফেরদৌস সরদার জানান, ৫ জুন রাত থেকেই হামলা, নির্যাতন ও বাড়ি ভাংচুর শুরু হয়েছে। ওই রাতে ৫ নং দেয়াড়া ওয়ার্ডের অগ্রদূত মাঠে শাওন ও শামীমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। দুর্জনীমহলে হুমাই শেখ ও মনিরুল শেখ, সামন্তসেনা গ্রামের হোসেন আলী, হাবিব শেখ, আব্দুল মজিদ ফকির, মোকছেদ আলী ফকির ও সালাউদ্দিন পিন্টুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আইচগাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুলের গ্রামের বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে এস এম হাবিবের বক্তব্য জানা যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ। তার প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ ফ ম সালামের মোবাইলও বন্ধ রয়েছে।

সার্বিক বিষয় নিয়ে রূপসা থানার ওসি এনামুল হক জানান, নির্বাচন পরবর্তী সহিংতার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বাকিগুলো ছোটখাটো ঘটনা। চড়-থাপ্পর খেয়েও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!