রূপসায় বন্ধ থাকা সুন্দরবন সী ফুডস লিমিটডে এ হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রূপসা থানায় মাছ কোম্পানীটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও যুবলীগ কর্মী মো: নাজমুল হোসেন চৌধুরী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ০৪মে’ তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, রূপসা রামনগর এলাকায় স্থাপিত বন্ধ হয়ে যাওয়া সুন্দরবন সী ফুডস লিমিটেডে এর জমিতে অস্থায়ী চায়ের দোকান বানিয়ে চা বিক্রি করতেন মেহের আলী নামে এক ব্যক্তি। তাকে চার মাস আগে ওইস্থান থেকে দোকান সরিয়ে নিতে বলে মাছ কোম্পানি কতৃপক্ষ। তিনি নানা তালবাহানায় আজ না কাল করে দোকান সরাননি। সর্বশেষ ০৪ মে’ শনিবার মাছ কোম্পানির কর্মচারী আমীর হোসেন গাজী দোকানের পাশে মাটি দেওয়ার সময় তাকে বাধা দেন নৈহাটি ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাসুম সরদার। তিনি মালিক পক্ষকে নিয়ে আসার জন্য বলেন। সে সময় মাছ কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হোসেন চৌধুরী সেখানে গেলে ইউপি সদস্যের সাথে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ইউপি সদস্য নৈহাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো: কামাল হেসেন বুলবুলকে ফোন করে ডেকে আনেন। নৈহাটি চেয়ারম্যানের সাথে থাকা লোকজন মাছ কোম্পানীর দেওয়াল টপকে কোম্পানির অভ্যন্তরে ঢুকে ভাঙচুর করে। কোম্পানিটির ব্যাস্থাপনা পরিচালক ও কর্মচারীকে তুলে নিয়ে যায় ও লাঠি সোটা দিয়ে মারধর করে। এতে কম্পানীটির কর্মচারীর মাথায় আঘাত লাগে। সেখানে দুটো সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নৈহাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো: কামাল হেসেন বুলবুলকে তার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউপি সদস্য মাসুম সরদারের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, ভাই তেমন কিছু না। একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। ঠিক হয়ে গেছে। চেয়ারম্যান সাহেব কথা বলেছেন। সব মিলমিশ হয়ে যাবে।
ভুক্তভোগী মাছ কোম্পানির ব্যবাস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি জানি না কেন তারা এমন করেছে। আমি প্রথমে মেম্বারের কাছে গেলে সে আমার সাথে খুবই খারাপ ব্যাবহার করে ও গালি গালাজ করে। পরে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এসে মারধর করে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। থানা কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শওকত কবীর জানান, দু পক্ষের পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য। একটা লিখিত অভিযোগ থানায় দায়ের হয়েছে। আমরা দুই পক্ষের সাথেই কথা বলছি।
খুলনা গেজেট/কেডি