খুলনার রূপসা ও মোল্লাহাট সীমান্ত এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান লুট ও বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে, আহতদের মধ্যে ৩ জনকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভর্তি রোগীরা হলেন, লিমন ফকির (২২), জাহিদুল ফকির (৩০) ও রাসেল ফকির (৩২)। ঈদের দিন (সোমবার) রাত ৭টার দিকে রূপসা উপজেলার বামনডাঙ্গা বাজারে তিনটি দোকান লুট ও মঙ্গলবার সকালে মোল্লাহাটের বুড়িগাঙনী গ্রামের ফকির বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক বুড়িগাঙনী গ্রামের লিটন ফকির বলেন, ঈদের দিন ফাকা মাঠে ঘুরতে যাওয়া আমাদের এক ছেলের সাথে বামনডাঙ্গা এলাকার এক ছেলের ঝগড়া হয়, তুচ্ছ ওই ঘটনার জেরে রাত ৭টার দিকে বামনডাঙ্গা এলাকার রুহুল মিনা ও ফরহাদ মিনার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন দুস্কৃতিকারীরা আমার দোকানে হামলা চালায়। এসময় আমি দোকানের মালামালের আড়ালে লুকানোর চেষ্টা করি, তবু দোকানের মধ্যে ঢুকে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে যখম করে, তখন আমাকে উদ্ধার করতে আসা লোকজনকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে যখম করা সহ প্রকাশ্যে সাত লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এঘটনায় ওই রাতেই সংশ্লিষ্ট রূপসা থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় অভিযোগ করার কারণে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে আবারো আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এঘটনার যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন লিটন ফকির।
এছাড়া দোকান মালিক দুলাল ফকির বলেন, তার দোকানে হামলা ও লুটপাটের মাধ্যমে লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী চা দোকানী কালা মিনা বলেন, তার দোকানেও ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
সংশ্লিষ্ট গাংনী ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদের রাতের ঘটনা মিমাংসার চেষ্টা করি, পরেরদিন আবারো হামলা করার ঘটনা আরো দুঃখজনক। তবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ওই সব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষের এনামুল মিনা ও ইমা বেগম বলেন, আমাদের উপর ফকির বাড়ির লোকজন সকাল বেলা হামলা চালিয়েছে। আমরা পালিয়ে রক্ষা পেলেও আমাদের অনেকে আহত হয়েছে।
রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় রাতে এবং সকালে পুলিশ গিয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে