রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের মূল যন্ত্রাংশ এখন মোংলা সমুদ্র বন্দরে খালাস হচ্ছে। ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা পারমাণবিক এ চুল্লিটিকে নিয়ে লাইব্রেয়িয়া পতাকাবাহী বিদেশি জাহাজ এমভি ‘ডেইজি’ এ বন্দরে আসে।
প্রায় ২ হাজার ৪শ’ মেট্রিক টন ওজনের এ যন্ত্রাংশ গত মঙ্গলবার বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে ভেড়ার পর শুরু হয় খালাস কাজ। টানা তিন দিনে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ ৯শ’ মেট্রিক টন খালাস কাজ সম্পন্ন হয়। পুরোপুরি খালাস কাজ শেষ করতে আরও ২/৩দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স সানসাইন’র খুলনাস্থ প্রতিনিধি মোঃ একরাম।
তিনি আরও জানান, ১৯ অক্টোবর রাশিয়ার ভলগা নদী হয়ে মোংলা সমুদ্র বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে এই জাহাজটি পৌঁছে। সেখান থেকে এই যন্ত্রাংশগুলো গত ২০ অক্টোবর বন্দর জেটিতে পৌঁছালে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ম্যানেজার হাসানুর রহমান রিজভি জানান, প্রেসার ভেসেল এবং স্টিম জেনারেটরের এই চালান দেশে পৌঁছানোর মধ্যে দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ অনেক এগিয়ে গেল। পারমাণবিক এ চুল্লি পাত্রটির ওজন ৩’শ ৩৩ দশমিক ৬ মেট্রিক টন এবং স্টিম জেনারেটরের ওজন ৩৪০ টন। আগামী দু’একদিনের মধ্যেই পুরোপুরি খালাস হবে এই পারমাণবিক যন্ত্রাংশ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালে উৎপাদনে আসার পর এর থেকে পাওয়া যাবে দুই হাজার চার’শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান জানান, বাংলাদেশের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এই যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ বিষয় সার্বিক তদারকি করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর এ যন্ত্রাংশ খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এই বন্দরের সুনাম আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ