রাজধানীর মালিবাগের গুলবাগ এলাকার একটি বাসায় রুবিনা ইয়াছমিন নদী নামের এক তরুণীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার তথ্য মিলেছে। তার রুমমেট জানান, তাকে ভিডিও কলে রেখে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেন ২২ বছর বয়সী নদী।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে মালিবাগের গুলবাগের একটি বাসায় ঘটনাটি ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নদীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার রুমমেট মারিয়াম খানম। তিনি জানান, নদী ও তিনি মালিবাগের বাসায় সাবলেট ভাড়া থাকেন। তারা দুজনই বনশ্রী এলাকায় একটি বোরকা হাউসে চাকরি করতেন। আজ তিনি কাজে গেলেও নদী যাননি।
বেলা ৩টার দিকে নদী তাকে ভিডিও কল দিয়ে বাসায় আসতে বলেন। কিছুক্ষণ পর ভিডিও কলে রেখেই নদী ফ্যানের সঙ্গে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে তিনি নিজেই বাসায় এসে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
মারিয়াম জানান, দুই বছর আগে সম্পর্ক করে সামিউল নামে একটি ছেলেকে বিয়ে করেন নদী। কিন্তু তার পরিবার এ বিয়েতে রাজি ছিল না। কিছুদিন পরেই তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
এর পর থেকে পরিবারের সঙ্গে নদীর তেমন সম্পর্ক ছিল না। আর বিষয়টি নিয়ে তিনি ভীষণ বিরক্ত ছিলেন।
নদীর খালাতো বোন তামান্না আক্তার জানান, তাদের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। নদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে আসেন। কিন্তু কী কারণে নদি গলায় ফাঁস দিয়েছেন, তা বলতে পারেনি তিনি।
এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে নদী ছিলেন বড়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শাহজাহানপুর থানাকে জানানো হয়েছে।
শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক তমা বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে এসেছি। লাশ কী অবস্থায় ছিল, কীভাবে ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা করছি।’
খুলনা গেজেট/ টি আই