কুইন্সটাউনে শনিবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা ১৮৩ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় নিউ জিল্যান্ডকে। রান তাড়া করতে নেমে টিম সেইফার্টের ঝড়ে জয়টা নাগালে নিয়ে এসেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু নাটকীয়তা আর রোমাঞ্চ ছড়ায় শেষ ওভারটি। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে সেইফার্ট ৪৮ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৮ রান করে আউট হন।
এরপর মার্ক চ্যাপম্যান ও ড্যারিল মিচেল দলকে জয়ের বন্দরের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। শেষ ওভারে জেতার জন্য নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। লাহিরু কুমারার করা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান চ্যাপম্যান। তাতে ৫ বলে প্রয়োজন হয় ৪ রান। এরপর শুরু হয় নাটকীয়তা। ১৬ রান করা চ্যাপম্যান আউট হয়ে যান পরের বলে।
তৃতীয় বলটি ওয়াইড হয় এবং রান নিতে গিয়ে রান আউট হন নতুন ব্যাটসম্যান জিমি নিশাম (০)। এরপর তৃতীয় বলে আউট হন আরেক সেট ব্যাটসম্যান ড্যারিল মিচেল (১৫)। তাতে শেষ তিন বলে জিততে স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ৩ রান।
অ্যাডাম মিলনে চতুর্থ বলে ১টি বাই রান নেন। এই বলে রান আউটের সুযোগ মিস করেন মেন্ডিস। পঞ্চম বলে রাচিন রবীন্দ্র ডিপ পয়েন্ট ও ডিপ থার্ড অঞ্চলের গ্যাপ দিয়ে মেরে ২ রান নিয়ে ৪ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় নিশ্চিত করেন।
এই জয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ কিউইরা জিতে নিলো ২-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে সুপার ওভার থ্রিলারে হেরেছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে অ্যাডাম মিলনের দুর্দান্ত বোলিং আর সেইফার্টের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে জিতে নিউ জিল্যান্ড।
শেষ ম্যাচে সেইফার্ট ছাড়া টম লাথাম ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩১ রান। ১৭টি রান আসে চাদ বোয়েসের ব্যাট থেকে।
তার আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসটি বড় হয় টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে। কুশাল মেন্ডিস ৪৮ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৭৩ রান। কুশাল পেরেরা ২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩৩ রান। এছাড়া পাথুম নিসাঙ্কা ২৫ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা করেন ২০ রান।
বেল লিস্টার নেন ২টি উইকেট। শেষ ম্যাচে ৮৮ রান করে ম্যাচসেরা ও সিরিজে ১৬৭ রান করে সিরিজ সেরাও হন সেইফার্ট।
খুলনা গেজেট/এনএম