দুই মামলায় ছয়দিনের রিমান্ড শেষে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগমকে। রোববার (১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক আইভি আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৭ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত একটি হত্যা মামলায় সিংগাইর তানা পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংগীতশিল্পী মমতাজকে।
সিংগাইর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, হত্যা মামলায় মমতাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেসব তত্য যাচাই-বাছাই করে তদন্ত কার্যক্রম এগুচ্ছে।
এছাড়া হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানিয়েছেন, দুই দিনের রিমান্ডে মমতাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
২০১৩ সালে কয়েকটি দলের ডাকা হরতাল চলাকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের গোবিন্দল এলাকায় মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর নিহতদের একজন স্বজন মজনু মোল্লা বাদী হয়ে গায়িকা মমতাজকে মূল আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
অন্যদিকে হরিরামপুর উপজেলার এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাশকতার মামলা করেন। মামলায় অন্যতম আসামি মমতাজ।
প্রসঙ্গত, মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য হয়ে ওই বছরই সংরক্ষিত নারী আসনে নবম জাতীয় সংসদের সদস্য মনোনীত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর ও হরিরামপুর) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হন।
বর্তমানে তিনি সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তার সৎ ছেলে সিংগাইর পৌরসভার মেয়র এবং ভাগনে শহিদুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
খুলনা গেজেট/এএজে