ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় এবার ঢালাওভাবে বাড়ানো হবে না। যাঁরা নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না, তাঁরা আইনানুযায়ী সময়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে করোনার কারণে রিটার্ন জমার সময় বাড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ কথা বলেন। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যাবে। করোনার কারণে এবার কর মেলা হচ্ছে না। সেগুনবাগিচার এনবিআর কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, করদাতাদের সুবিধার জন্য প্রতিটি কর অঞ্চলে কর মেলার পরিবেশে রিটার্ন গ্রহণ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদান, কর তথ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। রিটার্ন দাখিলের পর করদাতাদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও দেওয়া হচ্ছে।
ফেসবুক, গুগলের মতো বৈশ্বিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজস্ব আদায়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্পর্কে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, রায় এখনো হাতে আসেনি। এই খাত থেকে রাজস্ব আদায়ে অসুবিধা হলো, শুধু ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো অর্থ থেকেই আমরা রাজস্ব পাই। হুন্ডির মতো অন্যান্য মাধ্যমে অর্থ পাঠানো হলে তা থেকে রাজস্ব পাওয়া যায় না। এসব নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি, বাণিজ্য এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভ্যাটের ইলেকট্রনিক ফিশকাল ডিভাইসের (ইএফডি) পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হয়েছে। আগামী মাসে আরও ১০০০ ইএফডি বসানো হবে। পর্যায়ক্রমে আরও ১০ হাজার ইএফডি বসানো হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সময়ে ৬৬ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এই সময়ে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্য ছিল ৮৭ হাজার কোটি টাকা। এ বছর এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক-কর আদায় করতে হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম