খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

রিজেন্ট সাহেদ ২৮ দিনের রিমান্ডে

গেজেট ডেস্ক

রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ ৪ মামলায় ২৮ দিনের রিমান্ডে। প্রতারণার ৪ মামলায় রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদকে ৭ দিন করে মোট ২৮ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

রবিবার (২৬ জুলাই) ঢাকার সিএমএম আদালতে পুলিশের ৪০ দিনের রিমান্ডের আবেদনে আদালত ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

দুপুরে তাকে এবং রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে তোলা হয়। এছাড়া, ৬ টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে, সাতক্ষীরার অস্ত্র মামলায় আরও ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। রিমান্ডে বিভিন্ন প্রতারণার কথা সাহেদ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে তারা। আটকের পর রিমান্ডের ১০ দিনের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৬ দিন ছিল সাহেদ। পরে র‌্যাব-এর কাছে মামলা হস্তান্তর হলে বাকি ৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব।

সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের বেশ কয়েকদিন পর ১৪ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে সাহেদকে আটক করে র‌্যাব। আটকের সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় নেয়া হয়। পরে, র‌্যাব সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘রিজেন্টের গ্রেপ্তার হওয়া এমডির কাছ থেকে সাহেদের পালানোর সম্ভাব্য ধারণা পাওয়া গিয়েছিলো, সেই অনুযায়ী ও আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে অভিযান পরিচালিত হয়েছে বেশ কয়েকটি। গ্রেপ্তার এড়াতে সাহেদ ঢাকাসহ একেক দিন একেক জায়গায় আত্মগোপনে ছিলো। বিভিন্ন স্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরাও ফলো করেছি তাকে। এর মাঝে ঢাকাও এসেছেন কয়েকবার। একেক সময় একেক বাহন ব্যবহার করেছেন, ব্যাক্তিগত, অন্য ট্রান্সপোর্ট, ট্রাক, পায়ে হেঁটে সে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছিল।’

এর আগে, বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে বোরকা পরিহিত অবস্থায় ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় এনে তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয় উত্তরায় তার গোপন কার্যালয়ে। এ সময় বেশকিছু জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত ৬ জুলাই, নানা অভিযোগের ভিত্তিতে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর অভিযোগের সত্যতা মেলায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় ৮ জনকে আটক করা হলেও চেয়ারম্যানসহ ৯ জন পলাতক ছিলেন। পরে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর একদিন পর বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা গ্রেপ্তার হন মোহাম্মদ সাহেদ।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!