রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের অস্ত্র মামলার রায় ২৮শে সেপ্টেম্বর। আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।
এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ১১ জন। ১৬ই সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সাহেদ। এ সময় আদালত তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি সাফাই সাক্ষী দেবেন কি-না। উত্তরে সাহেদ বলেন, ‘আমি সাফাই সাক্ষী দেব না।’ আদালত জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি দোষী না নির্দোষ?’ জবাবে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। অস্ত্র আইনে করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ২৭ আগস্ট সাহেদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ১৯ আগস্ট মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াত মামলার অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করেন।
এর আগে ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় গত ২৬ জুলাই তাঁকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে যায় ডিবি পুলিশ। সেখান থেকে সাহেদের গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।
খুলনা গেজেট / এমএম