সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার অবৈধ অস্ত্র মামলায় দশদিন রিমান্ডের চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রিজেন্ট গ্র“পের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে গ্রেফতারস্থল সীমান্তবর্তী কোমরপুর এলাকা থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসলো র্যাব-৬। তাকে লাবণ্যবতী নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রীজের উপর মিনিট দশেক রাখা হয়েছিল। পরে তাকে আবারো র্যাব-৬ কার্যালয়ে খুলনায় নিয়ে আসা হয়।
তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের প্রাপ্ত তথ্য না জানানো হলেও দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দেশের বহুল আলোচিত-সমালোচিত রিজেন্ট সাহেদ মাঝে-মধ্যে খুব ক্ষ্যাপা আচরণ করছে। আবার কখনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে র্যাবের সাথে। তবে গ্রেফতার হওয়ার আগে সাতক্ষীরায় তার অবস্থান ও অস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তথ্য দিয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
অবৈধ অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এস আই রেজাউল ইসলাম জানান, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রবিবার ১০দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সাতক্ষীরার আমলী আদালত-৩ এর বিচারক (ভার্চুয়াল) রাজীব রায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের উপপরিদর্শক রেজাউল করিমের করা ১০দিনের রিমান্ড আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন আদালত। পরের দিন সোমবারই তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খুলনা র্যাব-৬ কার্যালয়ে আনা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তের লাবন্যবতী নদীর উপর নির্মিত ব্রেইলী ব্রীজের নীচ থেকে সাহেদকে বোরখা পরিহিত অবস্থায় গ্রেফতার করেছিল র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন রাতে র্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় মামলা (যার নং-০৫) দায়ের করেন। মামলায় সাহেদ করিমসহ তিনজনকে আসামী করা হয়।
খুলনা গেজেট/এআইএন