রাহাতের বয়স এখন ২০। ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। মাঝে মাঝে একাকী চলে যায় যেখানে-সেখানে। কয়েক দিন পর আবার ফিরে আসে। এবার মনে মনে ভাবল জঙ্গলের দিকে ঘুরতে যাবে। একদিন সকালে কাউকে কিছু না বলে হাঁটা শুরু করলো। হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে ভাবল, কোন কাজে লাগতে পারে। আবার হাঁটতে শুরু করলো। একটি ব্যাগে খাবার এনেছিল। বসে খেয়ে নিল। হঠাৎ দেখে একটি কচ্ছপ হেঁটে যাচ্ছে। রাহাত ধরে ফেললো ও ব্যাগের মধ্যে রেখে আবার হাঁটতে শুরু করলো। যেতে যেতে হঠাৎ দেখতে পেল একটি ডিবি। সে ইহা খুললো। দেখে চুন। সাথে নিল। মনে মনে ভাবল, এসব কাজে লাগতে পারে। এক সময় লোকালয় থেকে জঙ্গলে পা দিল। শুধু গাছ আর গাছ। পাখি ডাকছে, বানর নাচানাচি করছে। ২/১ টা সাপও দেখতে পেলো। সন্ধ্যা হয়ে গেল। এখন কোথায় যাবে? মনে মনে ভাবল বড় একটা গাছে উঠে বসে থাকবে। হঠাৎ দেখতে পেলো বড় বিল্ডিং। সাথে লাইট ছিল। রাহাত লাইট মেরে মেরে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। ঘরে প্রবেশ করে সে অবাক হল। কি সুন্দর সাজানো গোছানো ঘর। মনে মনে ভাবে এ ঘরে কারা থাকে। সারা বাড়ি ঘুড়ল কোথাও কাউকে পেলোনা। সাথে আনা খাবার খেয়ে দড়জা লাগিয়ে এক সময় ঘুমিয়ে পড়ল।
এটা ছিল রাক্ষসদের বাড়ি তারা গভীর রাতে ফিরে এলো। ভিতর দিয়ে দড়জা লাগানো দেখে বুঝতে পাড়লো ভিতরে মানুষ আছে। জোরে বলতে থাকে
: হাঁউ, মাঁউ, খাঁউ মানুষের গঁন্ধ পাঁউ।
রাহাত বুঝতে পারলো এটা রাক্ষসের বাড়ি। সে বুদ্ধি করে বললো,
: হাউ, মাউ, খাউ মানুষের গন্ধ পাউ। তোমরা কারা।
: আঁমরা রাঁক্ষস। মাঁনুষ খাঁই। তুঁমি কেঁ।
: আমি খাক্ষস। রাক্ষস খাই।
: তোমার একটা চুল দাও তো।
রাহাত মোটা রশিটি ফেলে দিল জানালা দিয়ে। রাক্ষস এটা দেখে মনে মনে ভাবল যার চুল এমন না জানি সে কেমন।
: তোঁমার মাঁথার এঁকটা উঁকুন দাঁওতো।
রাহাত কচ্ছপ ফেলে দিল। এটা দেখে রাক্ষস আরো ভয় পেয়ে গেল।
: তোঁমার থুঁথু দাঁওতো।
রাহাত পাত্র থেকে চুন ঢেলে দিল। মুখ পুড়ে গেল। ভয় পেয়ে চলে গেল। সকাল হলে রাহাত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এলো।
খুলনা গেজেট/কেএম