খুলনা সিটি কর্পোরেশননের (কেসিসি) প্রশাসক বলেছেন, উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে রাস্তার প্রশস্ততা যেন না কমে সেদিকটায় বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। কেসিসির বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ থাকা বা ধীর গতিতে চলমান ২২ টি মোড়ের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু ও সম্পন্ন করার বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেসিসির প্রশাসক মোঃ ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা সাইটগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে নকশাগত সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবেন। সেই সাথে চলমান প্রকল্পের যেসব জায়গায় বিভিন্ন কারণে যানজট এর মতো দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে সেগুলোকে অপসরণের মাধ্যমে সড়কগুলোকে চলাচল উপযোগী রাখতে হবে। শহরের ২২টি মোড়ের চলমান কাজকে আরও দ্রুততার সাথে শেষ করতে ইতিবাচকভাবে কাজ করা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে শহরটি আমাদের সবার।
সভায় মোড়গুলোর আধুনিকায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের ক্ষেত্রে পূর্তকাজের নকশা বিষয়ে আপত্তি ও সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। নাগরিক ভাবনা থেকে উঠে আসা বক্তৃতায় বিদ্যমান নকশাগত ক্রটির মাধ্যমে জনভোগান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা দূর করতে করনীয় বিষয়ে বিস্তারিত মতামত উঠে আসে।
সভায় কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) সুদর্শন কুমার রায়, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) কাজী মোঃ সাবিরুল আলম-সহ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ