সুরের অজস্র মণিমুক্তো সম্পদ হিসেবে অনুরাগীদের কাছে গচ্ছিত রেখে নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। ভারতের মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় পূর্ণ মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে সুরসম্রাজ্ঞীর শেষকৃত্য।
এদিন শিবাজি পার্কে ভারতরত্নকে শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মতো বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা। শাহরুখ খান, শচীন তেন্ডুলকর, আমির খান, রণবীর কাপুর, জাভেদ আখতার, শ্রদ্ধা কাপুরদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হাজারও সাধারণ মানুষ।
লতা মঙ্গেশকরের ভাই হৃদয়নাথ মরদেহের মুখাগ্নি করেন। কোভিডবিধি মেনেই শিল্পীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম হয় লতা মঙ্গেশকারের। জন্মপত্রে লতার নাম ছিল হেমা। পরবর্তী সময় তার বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকারের এক নাটকের চরিত্র লতিকার নামানুসারে বদলে যায় হেমার নাম। আত্মপ্রকাশ ঘটে লতা মঙ্গেশকরের। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গানের ক্যারিয়ার শুরু তার। ১৯৪১ সালের ১৬ ডিসেম্বর গায়িকা হিসেবে পথচলা শুরু হয় লতা মঙ্গেশকারের। দশ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই।
জন্মপত্রে লতার নাম ছিল হেমা। পরে বাবার এক নাটকের চরিত্র লতিকার নামানুসারে বদলে যায় হেমার নাম। আত্মপ্রকাশ ঘটে লতা মঙ্গেশকরের। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গানের ক্যারিয়ার শুরু। সাল ১৯৪২। লতা যখন স্টুডিওতে গান গেয়েছেন, সে বছরেই জন্ম হচ্ছে অমিতাভ বচ্চনের।
তবে মুম্বাই প্রথমেই লতাকে গ্রহণ করেনি। প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায় তার শহিদ ছবিতে গান গাওয়ার ইচ্ছা বাতিল করে দিয়েছিলেন নিমেষেই। লতার গলা পাতলা, মন্তব্য ছিল তার। সংগীত পরিচালক গুলাম হায়দার অবশ্য সেদিন বেশ কটি কথা শুনিয়ে এসেছিলেন শশধরকে। জোর গলায় বলেছিলেন— প্রযোজকরা এর পর লতার পা ধরে তাদের ছবিতে গাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবে।
উপমহাদেশের এই প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রোববার সকালে ৯২ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন মারা যান।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
লতা মঙ্গেশকরকে ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল। তিনি পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দাদা সাহেব ফালকেসহ একাধিক জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই