রাষ্ট্রায়ত্ব ২৫ পাটকল অবিলম্বে চালু করা, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকের পাওনা অবিলম্বে এককালীন পরিশোধ করা এবং দুর্নীতি-লুটপাট-ভুলনীতি পরিহার করে মিলগুলো আধুনিকায়ন করাসহ ১৪দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা খুলনার নতুন রাস্তা মোড়ে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপূর্বে সকাল সাড়ে ১০টায় প্লাটিনাম জুট মিল গেট থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল করে নতুন রাস্তার মোড়ে আসেন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও বিক্ষুব্ধ পাটকল শ্রমিকরা।
এসব কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ খুলনার আহবায়ক এড. কুদরত-ই খুদা। পরিষদের সদস্য সচিব এসএ রশিদের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সদস্য সরদার রুহিন হোনে প্রিন্স, পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ আইনজীবী আ ফ ম মহসীন, ইষ্টার্ণ জুটমিল সিবিএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাসদ জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নাণ্টু, আনিসুর রহমান মিঠু, এইচএম শাহাদাৎ, এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, মিজানুর রহমান বাবু, মোস্তফা খালিদ খসরু, মুনীর চৌধুরী সোহেল, হুমায়ুন কবীর, মনিরুল হক বাচ্চু, আব্দুল করিম, শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, রহমান মোল্যা, এসএম চন্দন, গাজী আফজাল, রুহুল আমিন, আফজাল হোসেন রাজু, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শ্যামল রায়, খালিশপুর দোকান মালিক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, এম এ কাশেম, প্রভাষক জয়ন্ত মুখার্জী, শ্রমিক নেতা নূরুল ইসলাম, অলিয়ার রহমান, আলগীর হোসেন, আলমগীর কবীর, সামশের আলম শামসেদ, নজরুল ইসলাম মল্লিক, আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, মোশারফ হোসেন ও মশিউর রহমান, সনজিত মন্ডল, সৌরভ সমাদ্দার, আজিজুল খান আরমান, আল আমিন শেখ ও সাইদুল হক নিশান প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পাটকলগুলোর লোকসানের মূল কারণ সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি-লুটপাট এবং পাটকল পরিচালনায় ভুলনীতি। তাই পাটকল বন্ধ নয়, দুর্নীতিবাজদের বিচার কর, করতে হবে। শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) প্রস্তাবিত পথে মাত্র বারোশ’ কোটি টাকা ব্যয় করে পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করা সম্ভব। ২০১৩ সাল থেকে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পিএফ, গ্রাচুইটিসহ সকল পাওনা এবং সকল শ্রমিকদের বকেয়া ৬ সপ্তাহের মজুরী, বোনাস ও এরিয়ারের টাকা অবিলম্বে পরিশোধ কর।
নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের সম্পদ, জাতীয় সম্পদ। সে সম্পদ লুটপাট শ্রমিক-জনতা মেনে নেবে না। তাই সরকার দাবি না মেনে নেয়া পর্যন্ত নাগরিক পরিষদের আন্দোলন, কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি চলতে থাকবে।
খুলনা গেজেট/এআইএন