বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি ঘিরে। এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি জানান। এর আগে, একইদিন দুপুরে ছাত্র আন্দোলনের আরেক শীর্ষ সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ৯টায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সারজিস।
তিনি পোস্টে লিখেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে ((রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন) অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ওই পোস্টে লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
এর আগে হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেন এবং রাতারাতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যেও পুরোনো সরকারের অবশিষ্টাংশ হিসেবে কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন, এমন অভিযোগ তুলেছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের মতে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ছাড়া দেশে স্থায়ী পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।
সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর এই দাবি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে ছাত্র আন্দোলনের তরুণদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে এখনো এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
খুলনা গেজেট/এএজে