যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ তুলেছে মস্কো। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) রাশিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বহিষ্কারের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসেই রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মস্কোর দাবি, এই নির্বাচন এবং ইউক্রেনে রুশ অভিযান ঘিরে অপ তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এ কাজ করতে রুশবিরোধী বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘নির্বাচন ও (ইউক্রেনে) বিশেষ সামরিক অভিযান ঘিরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ বিভিন্নভাবে রুশ ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এসব চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’ মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘এ ধরনের কাজে যুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বহিষ্কারসহ নানা উপায়ে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।’
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষাসংক্রান্ত অলাভজনক তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ওয়াশিংটন যেন অর্থায়ন না করে, তা মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন ট্রাসিকে তলব করে জানানো হয়েছে। ওই তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো—আমেরিকান কাউন্সিলস ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন, কালচারাল ভিস্তাস ও ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন।
মার্কিন সমর্থিত বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে ক্রেমলিনবিরোধী বলে মনে করে মস্কো। রাশিয়ায় বিদ্রোহ সৃষ্টির জন্য তারা তৎপরতা চালাচ্ছে বলে প্রায়ই অভিযোগ করছে রুশ কর্তৃপক্ষ। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে পশ্চিমাদের পক্ষ থেকেও।
রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। সব মিলিয়ে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে মস্কো ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক বর্তমানে সবচেয়ে তলানিতে রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশই একে-অপরের বেশ কয়েকজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
খুলনা গেজেট/কেডি