রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে জার্মানিতে এক সরকারি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি রাশিয়ার হাতে গোপন তথ্য তুলে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) তাকে বিচারকের সামনে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়াকে গোপন তথ্য দেওয়ার অভিযোগে জার্মানিতে এক সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জার্মান গোপনীয়তার নিয়ম মেনে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম শুধুমাত্র টমাস এইচ বলে জানানো হয়েছে।
বিবিসি বলছে, গ্রেপ্তারকৃত ওই জার্মান কর্মকর্তা সামরিক সরঞ্জাম এবং তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন একটি অফিসে কাজ করেন। তিনি নিজের উদ্যোগে বার্লিনে রাশিয়ান দূতাবাস এবং বন শহরের রুশ কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি তার গোপন এই পরিষেবাগুলো অফার করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার তাকে বিচারকের সামনে হাজির করা হয় এবং আটকের পর এখন তাকে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া চলছে।
আগে টুইটার নামে পরিচিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জার্মান বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশম্যান বলেছেন, ‘বিদেশিদের হয়ে গোপনে কাজ করছেন বলে সন্দেহ হওয়ার পর ফেডারেল প্রসিকিউটর একজন জার্মান অফিসারকে গ্রেপ্তার করেছে।’
ফেডারেল প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা তার কাজের সময় প্রাপ্ত তথ্য রাশিয়ান গোয়েন্দা পরিষেবার কাছে পাঠানোর অভিপ্রায়ে সেগুলো হস্তান্তর করেছিলেন। তাকে পশ্চিম জার্মানির কোবলেঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে তার বাড়ি ও কর্মস্থলে তল্লাশি চালানো হয়।
এর আগে গত জুন মাসে ‘আক্রমনাত্মক রাশিয়ান গুপ্তচরবৃত্তির’ ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল জার্মানির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা বিএফভি।
অবশ্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর জার্মানিতে এই ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাশিয়ার কাছে গোয়েন্দা তথ্য প্রেরণের পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক জার্মান নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জার্মান গোপনীয়তার নীতির কারণে সেসময় আটককৃত ওই ব্যক্তির নাম কেবল আর্থার ই বলে জানানো হয়। আর ওই ব্যক্তিকে জার্মান ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (বিএনডি)-এর এক কর্মচারীর সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হয়েছিল।
বিএনডি-এর সেই কর্মচারীকেও গত বছরের ডিসেম্বরে রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম