ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আপাতত কোনো নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সে ইইউ নেতাদের সম্মেলন চলাকালে ফেসবুকে ভিডিও পোস্টে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার বিষয়টি জানান।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ভালোভাবে শেষ হয়েছে। (রাশিয়ার) তেল-গ্যাসের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে না। তাই বলা যায়, আগামী দিনগুলোতে হাঙ্গেরির জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত থাকছে।’
এর আগে রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে রাশিয়ার তেল ও অন্যান্য জ্বালানি আমদানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন বাইডেন।
বিশ্বের বৃহত্তম তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলায় বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছে দেশটি। এবার সেই নিষেধাজ্ঞায় তেল রপ্তানি খাতও যুক্ত হলো।
তকে বাইডেনের ঘোষণার আগেই রাশিয়া সতর্ক করেছে, তেল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পশ্চিমারা সামনে অগ্রসর হলে জার্মানিতে নিজেদের মূল গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার তেল প্রত্যাখ্যান বিশ্ববাজারের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। এতে তেলের দাম দ্বিগুণ বেড়ে প্রতি ব্যারেল তিনশ’ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
এদিকে রয়টার্সের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পর্যায়ক্রমে রাশিয়া থেকে তেল এবং জ্বালানি পণ্য আমদানি বন্ধ করবে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মঙ্গলবার বলেছেন, রাশিয়ার উপর তাদের তেল এবং জ্বালানি পণ্যের নির্ভরতা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে তাঁর দেশ।
খুলনা গেজেট/এএ