সার্জিও রামোস। একজন পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ। পেনাল্টি থেকে গোল করার ক্ষেত্রে তিনি নিজের সক্ষমতা দেখিয়েছেন বার বার। গেল দুই বছরে পেনাল্টি থেকে ২৫টি গোল করেছেন তিনি। শনিবার রাতে স্পেনের হয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে মাঠে নেমে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (১৭৭) আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলারও রেকর্ড গড়েন। পাশাপাশি এদিন একটি লজ্জার রেকর্ডও গড়েন রামোস। দুই-দুইবার মিস করেন পেনাল্টি। তাতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়া হয়নি তাদের। ১-১ গোলের ড্রতে সেমিফাইনালের রাস্তা কঠিন করে ফেলেছে ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেমিফাইনালে যেতে হলে মঙ্গলবার ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে জার্মানিকে হারাতে হবে তাদের।
শনিবার রাতে সুইজারল্যান্ড ম্যাচের ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায়। এ সময় রেমো ফ্রেউলার গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। দ্বিতীয়ার্ধে আরো একবার ফ্রেউলার স্পেনের জালে বল জড়াতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গোললাইনের ওপর থেকে সেটি ফিরিয়ে দেন রামোস। এরপর পিছিয়ে পড়া স্পেন গোল শোধের দুটি সোনালী সুযোগ পেয়েছিল। তার একটি ৫৮ মিনিটে। এ সময় পেনাল্টি পায় স্পেন। কিন্তু রামোসের নেওয়া কিক ফিরিয়ে দেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ইয়ান সমার। ৭৯ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় সুইজারল্যান্ড। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নিকো এলভেদি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
এ সময়ও পেনাল্টি পায় স্পেন। এবারও পেনাল্টি মিস করেন রামোস। তার নেওয়া শট বোকা বানাতে পারেনি সমারকে। ধরে ফেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্পেনকে হারের হাত থেকে রক্ষা করেন বদলি খেলোয়াড় জেরার্ড মরেনো। তার করা অন্তিম মুহূর্তের গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশরা।
এই ম্যাচে জয় পেলে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখতো স্পেন। কিন্তু ড্র করায় শেষ ম্যাচটি তাদের জিততে হবে। ৫ ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ-৪’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে জার্মানি। তারা শনিবার ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইউক্রেনকে। সমান ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে স্পেন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে ইউক্রেন রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা সুইজারল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট।
খুলনা গেজেট/এএমআর