গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঁচজন মারা গেছেন। এর মধ্যে করোনায় দুজন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে হাসপাতালে দুজন মারা গেছেন। এই দুজনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী, নওগাঁ ও পাবনার একজন করে মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ দুজন মারা গেছেন হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), ১৭ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
পরিচালক আরও জানান, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৮৬ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৪২ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৪০ জন।
বর্তমানে রাজশাহীর ৭১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২০ জন, নাটোরের ২০ জন, নওগাঁর ৮ জন, পাবনার ১২ জন, কুষ্টিয়ার ৬ জন, চুয়াডাঙ্গার ২ জন, জয়পুরহাটের একজন, সিরাজগঞ্জের একজন এবং মেহেরপুরের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৬৮ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪৩ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ৩১ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১১ জন।
এর আগে শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ১৪ জনের নমুনায়।
একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ১০৯ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ১০ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সেপ্টেম্বরের এই চার দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ২৭ জন। এর মধ্যে করোনায় ১২ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১১ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় চারজনের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই