বাগেরহাটের রামপালের প্রায় সর্বত্র হাট-বাজার বা দোকান গুলোতে পণ্য তালিকা টানানো না থাকায় প্রতিনিয়ত ক্রেতা সাধারণ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
এ উপজেলার বড় বড় বিপনী বিতানসহ সকল দোকানে ভোক্তা অধিকার নীতিমালার আওতায় মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সেটি মানছেন না অধিকাংশ ব্যবসায়ী। বাজার ব্যবস্থাপনায় চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।হাট বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। তেল, চাল, ডাল, মশল্লাসহ অন্যান্য অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর সঠিকভাবে টানানো থাকলে ক্রেতারা জানতে পারেন পণ্যের প্রকৃত মূল্য কত ? সেই আদিযুগ থেকে পণ্যের মূল্য তালিকা টানানো না থাকায় ক্রেতা সাধারণ জানতেই পারেন না যে, পণ্য উৎপাদনের কারখানা বা ক্ষেত্র থেকে পাইকারী মূল্য ও খুচরা মূল্যের ফারাক কত ? মধ্যঃস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে কারণেও ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায় বলেও মনে করেন সচেতন হল।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা পাইকারী মোকাম থেকে বেশি দামে পণ্য কিনলে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। তবে পণ্য তালিকা টানানো নির্দেশনা কেন মানা হয় না এমন প্রশ্ন করা হলে প্রায় সকলে বলেন পণ্য তালিকা টানানো হবে। মৌসুমি ফল তরমুজ ও বাঙ্গী বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। তাও প্রকাশ্যেই।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি এ্যডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় দূর্বল মনিটরিং এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের নজরদারী কম থাকায় ক্রেতা সাধারণ প্রতিনিয়ত ঠকছেন। তরমুজ পিচ হিসেবে ক্রয় করে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোদ উপজেলা সদরেই এমন হচ্ছে। এ ছাড়াও পণ্যের মান নিয়ে ও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রামপালে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি আছে কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড নৈরাশ্যজনক। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাজার মনিটরিং জোরদার করার দাবি জানান।