রামপালে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করায় এক সন্তানের জননী গৃহবধূ টুম্পা দেবনাথ (২৭) সহ তার শিশু কন্যা অর্পণা পোদ্দার (৯) বেধড়ক মারধর ও পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ এখন হাসপাতালে বেডে কাতরাচ্ছে। যৌনাঙ্গে পাশবিক নির্যাতনের কারণে রক্তক্ষরণ থামছে না বলে দাবি করেন ওই নির্যাতিতা।
নির্যাতিতা ওই নারী জানান, ১০/১১ বছর পূর্বে উপজেলার কালেখারবেড় গ্রামের গোপীনাথপুর পোদ্দারের সাথে বিপুল পরিমাণ উপঢৌকন দিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই যৌতুক লোভী স্বামী তাকে আরও যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এ পর্যন্ত আমার বাবা তাকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছে। আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করছে। এ জন্য গোপী তাকে প্রায়শই নির্যাতন করে আসছিল। এক পর্যায়ে তিনি প্রতিকার চেয়ে বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালতে একটি যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। এতে চরম ক্ষিপ্ত হয় স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের ধার্য্য তারিখে স্বামী তার স্ত্রী টুম্পা কে নিতে চায়। এরপর উপজেলার তেলীখালী তার বাবার বাড়ী থেকে তাকে লোকজন নিয়ে স্বামী গোপীর বাড়িতে নিয়ে আসে।
গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কালেখারবেড়স্থ তার শশুর বাড়িতে ঘরের দরজা দিয়ে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে শশুর, শাশুড়ী ও স্বামী মারপিট শুরু করে। এ সময় ঘরে থাকা শোকেসের ভাঙ্গা গ্লাস দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় শিশু কন্যা অর্পণাকেও মারপিট করে। এখানেই থেমে থাকেনি স্বামী গোপী ! সে স্ত্রীর যৌনাঙ্গেও পাশবিকতা চালায়। এতে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হয় তার। ওই গৃহবধূ সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মো: সামসুদ্দীন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম