খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
  আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত

রামপালে সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি ব্রীজের ৭৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন

রামপাল প্রতিনিধি

করোনা মহামারির প্রকোপ কমে আসার পর রামপালে এলজিইডি’র অর্থায়নে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ব্রীজের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে ব্রীজ তিনটির ৭৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারীর মধ্যে মানুষ চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে বলে উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার ফায়লাহাট-চাকশ্রী সড়কের ফয়লা ব্রীজের নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইটি এন্ড জেই। তারা ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবরে ব্রীজের কাজ শুরু করেন। ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার ১১০ টাকা। এটি ৩০ মিটার দৈর্ঘ্য। ওই ব্রীজের ডিজাইন সমস্যা, করোনার প্রকোপ ও অর্থ ছাড়ের জটিলতায় যথা সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। তবে ইতিমধ্যে ওই ব্রীজের ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে রামপাল উপজেলা এলজিইডি অফিস জানায়। এটা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে।

বগুড়া খেয়াঘাট ব্রীজটির কাজ শুরু করে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইটি এন্ড জেই। ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই ব্রীজ টির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ৫১ হাজার ১৩৩ টাকা। এটাও করোনা, সীমানা সমস্যা ও অর্থ ছাড়ের জটিলতায় পিছিয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যে ব্রীজটির ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এটি ডিসেম্বরের মধ্যে চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে।

গৌরম্ভা ইউনিয়নের কন্যাডুবি খেয়াঘাটের ব্রীজটি ৪৮ মিটারের। এটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৯৩ টাকা। ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বরে এম এস মহিউদ্দিন আহমেদ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। ব্রীজটির ৭০ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০২২ সালের জানুয়ারিতেই চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলজার হোসেন জানান, তিনটি ব্রীজের একটিতে ডিজাইন সমস্যা হয়েছে। করোনার প্রকোপ ও অর্থ ছাড়ের জটিলতায় কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও খুব দ্রুততার সাথে কাজ এগিয়ে চলছে। আশা করছি আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে সবগুলো জনসাধারণের চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে, যা আপনারা সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন।

কথা হয় রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন এর সাথে। তিনি জানান, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক স্যার এর নির্দেশনায় এ উপজেলার ব্রীজগুলো যাতে দ্রুত নির্মাণ সম্পন্ন হয় সে জন্যে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। অতিবৃষ্টি ও মহামারী পরিস্থিতির কারণে ব্রীজগুলো নির্মাণে দেরি হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া সম্ভব হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!