রামপালে সামাজিক বন বিভাগের শতাধিক গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সরকারের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাগেরহাট জেলা সামাজিক বন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা সরেজমিনে গিয়ে কাটা গাছ জব্দ করে স্থানীয়ভাবে জিম্মায় রেখেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, রামপাল উপজেলার জিয়লমারী গ্রামের দিপক পাইক ও স্থানীয় ভোজপাতিয়া ইউপি সদস্য গাজী রেজাউল ইসলাম বাবুল সামাজিক বনায়নের গাছ কমিটির মাধ্যমে রোপণ করেন। তারা জিয়লমারী সড়কের দুই পাশে সামাজিক বন বিভাগের শিশু, বাবলা, রেইনট্রি ও অর্জুন গাছসহ নানা প্রজাতির এসব গাছ রোপণ করেন। কয়েকদিন পূর্বে ওই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য গাছ কাটা হয়। বাগেরহাট সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তাদের না জানিয়ে সড়ক নির্মাণের ঠিকাদার ওই গাছ স্কেভেটর দিয়ে উপড়ে ফেলে। সেই গাছ রোপণকারী সামাজিক বনায়ন কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য বাবুল ও দিপক কেটে বিক্রি করে দেন।
অভিযোগ পেয়ে বন দপ্তরের রামপাল উপজেলা কর্মকর্তা মো. আ. রাজ্জাক ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু গাছ জব্দ করেন বলে দাবী করেন। সরজমিনে গিয়ে এ বিষয়ে অভিযুক্ত দিপক পাইকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, রাস্তার ঠিকাদার রাস্তা প্রশস্ত করতে গাছ উপড়ে ফেলেছে। সেই গাছ কেটে জড়ো করতে আমার গাঁটের টাকা খরচ হয়েছে। আপনারা সব দেখে যান, আমি শ্রমিকদের মজুরি বাবদ কিছু ডালপালা বিক্রি করেছি। গাছগুলো রেখে দিয়েছি।
এ বিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য গাজী রেজাউল ইসলাম বাবুলের সাথে। তিনি বলেন, রাস্তায় কাজ করা ঠিকাদারের লোকজন গাছ কেটে ফেলেছে। বন বিভাগের সাথে কথা বলে আমি ২হাজার ৪ শত টাকায় কিছু গাছ বিক্রি করেছি। তবে গাছ কেটে তা আত্মসাতের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে কথা হয় রামপাল উপজেলা সামাজিক বন কর্মকর্তা আ. রাজ্জাকের সাথে। তিনি বলেন, সড়কের লোকেরা গাছ কেটে ফেলেছে। আমাদের জানায়নি। সড়কে যে পরিমাণ গাছ থাকার কথা ছিল তা নেই। দীপক পাইক ২০ ও বাবুল মেম্বরের জিম্মায় ৪ টি গাছ রেখে দেয়া হয়েছে। কোন গাছ বিক্রির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, বরং গাছ জব্দ করতে গিয়ে উল্টো আমার পকেটের টাকা খরচ হয়েছে।
স্থানীয় ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল আমীন অভিযোগ করে জানান, রাস্তায় অনেক গাছ ছিল। কতিপয় ব্যক্তি কেটে কয়েক লক্ষ টাকায় তা বিক্রি করেছে। সামাজিক বন বিভাগের কার্যক্রম রহস্যজনক বলে তারা অভিযোগ করে বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে