সাবেক ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেনকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আহত আলমগীর হোসেন তার স্ত্রী ইসমাত আরার মাধ্যমে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাতে মামলাটি করেন। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় পুটিমারী ব্রীজের কাছে উপজেলার রোমজাইপুর গ্রামের বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও ঘের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার মিশনে অংশ নেয় একই এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য বায়েজিদ সরদার, জব্বার খান, শিবলী খান, রুহিন মোল্লা, আল মিরন শেখ, আল ফেসানী, লিটন খান, নাহিদুল ইসলাম তামিম, শরিফুল ইসলাম, আল মুকিত সরদার, সাতপুকুরিয়া গ্রামের জসিম মাঝি, মুক্ত মাঝি, জিগিরমোল্লার আবু হানিফা, ও আড়ুয়াডাঙ্গার শাহাবুদ্দিনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন। তারা আলমকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ও রড দিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দেয়। মৃত নিশ্চিত করতে তার গলা টিপে ধরে এবং হাতপা বেঁধে পুটিমারীর খালে ফেলে বীরদর্পে চলে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা নগদ ৯১ হাজার টাকা, দুইটি সোনার আংটি ও দুইটি সিমসহ ফোনসেট নিয়ে নেয়। বর্তমানে আহত আলমগীর খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ দিকে এ ঘটনায় আহত আলমগীরের স্ত্রী ইসমাত আরা তার সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামি ধরতে পারেনি। রামপাল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।
খুলনা গেজেট/কেএ