মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও সাবেক প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আ. জলিল (৭৬) এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) আসরবাদ কোর্ট মসজিদ চত্বরে জানাযা শেষে রামপাল সদরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এর পূর্বে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদর্শন, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
তিনি সকাল ৮ টায় অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
তার জানাযায় অংশ নেন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক এমপি মীর শওকত আলী বাদশা, সাবেক জেলা জাজ শেখ জালাল উদ্দীন, উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন, ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আ. রউফ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মো. আবু সাইদ, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল, তরফদার মাহাফুজুল হক টুকু, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, মো. নাসির উদ্দীন, মো. রাজীব সরদার, মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফফর হোসেন, মৃতের পুত্র ও রামপাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী প্রমুখ।
জানাযায় বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, বাগেরহাট-৩ আসনের এমপি ও বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন্নবী নাহার, বাগেরহাট-১ আসনের এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন, ২ আসনের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়, ৪ আসনের এমপি এড. আমিরুল ইসলাম মিলন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুজ্জামান টুকুসহ নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
অনুরূপভাবে শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/ এস আই