রামপালে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে জ্বরের প্রকোপ। উপজেলার কয়েকটি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাজারের ফার্মেসীতেও মিলছে না ‘নাপা’। তাতে দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছেছে।
সরেজমিনে রামপালের স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ না কেউ। একদিকে করোনা মহামারির কারণে মানুষের মধ্যে একধরনের সামাজিক ভয় কাজ করছে। তাই সহসা অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সমুখী হচ্ছেন না। তাদের ভরসা স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক ও ফার্মেসী।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে করোনা টেষ্ট করাতে হতে পারে এ ধরনের এক প্রকার ভয় তাদের মধ্যে কাজ করছে। তবে গ্রামের হাট–বাজার বা ফার্মেসীতে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না সাধারণের পরিচিত জ্বরের ঔষুধ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদিত নাপা ও নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট।
স্থানীয় বাজারের কয়েকজন ঔষধ বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই মূহুর্তে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের বিক্রয় প্রতিনিধিদের কাছে ‘নাপা’র চাহিদার কথা জানালেও সেটি তাদের এখনও সরবরাহ করা হয়নি। তার পরিবর্তে তারা অন্য কোম্পানির প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেক্সিমকো ফার্মার রিজিওনাল সেলস এক্সিকিউটিভ আজিজুল হক জানান, আমাদের প্রডাক্টের কিছু ক্রাইসিস ছিল। আজ রামপাল-মোংলা তে আমাদের বিক্রয় প্রতিনিধি নাপা এক্সট্রা সরবরাহ করেছে। সামনের সপ্তাহ নাগাদ সব ফার্মেসিতে নাপা সরবরাহ করা হবে।
রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুকান্ত পাল জানান, আগের তুলনায় মানুষের মধ্যে এখন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা এবং মাস্ক পরার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে এখন সরকারের প্রচেষ্টায় এ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে যার ফলে দ্রুততম সময়ে করোনার শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে। যদি কোন ব্যক্তির হাসপাতালে আসার সক্ষমতা না থাকে খবর দিলে সেক্ষেত্রে আমরা তার বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনছি।
খুলনা গেজেট/এনএম