রামপাল থানায় শালিস বৈঠকে তর্কিত জমি লিখে না দেওয়ায় গিয়াস উদ্দিন মামুন ফারাজী (৩২) নামের এক যুবককে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কর্মকর্তারা বিরুদ্ধে। আহত যুবককে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভয়ে ওই যুবক ও তার পরিবারের সদস্যরা কোথাও অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেন না। আর অভিযুক্ত এসআই আনসার উদ্দিন খান শালিস বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও মারপিটের কথা অস্বীকার করেন।
মামুনের স্ত্রী মাজেদা বেগম জানান, উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামে তার মা কুলসুমার কিছু জমি আছে। সেই জমি নিয়ে স্থানীয় পপি, নাসির ও কুতুব মল্লিকের সাথে বিরোধ রয়েছে। ও জমি নিয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলা রয়েছে। আমরা একটি ৭ ধারার মামলা করে রায়ও পেয়েছি। রামপাল থানায় বিবাদীরা একটি অভিযোগ করে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় আমি ও আমার মা এবং স্বামী মামুন থানায় গেলে থানার গোল ঘরে এসআই আনসার উদ্দিন আমাদের ওই জমি স্ট্যাম্পে লিখে দিতে বলেন। আমার স্বামী কারো কোন স্বাক্ষর দিতে নিষেধ করলে দারোগা ভিষণভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে মাথা ধরে মোচড় দিয়ে কিল, চড় মারতে মারতে থানার গেটের বাইর করে দেন। এ সময় বিবাদীরাও তাকে মারপিট করে।
একই অভিযোগ করে আহত মামুন বলেন, এসআই আনসার আলী তাকে কিল, চড় ও গলা চেপে ধরেন। তিনি এর বিচার চান। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি-তদন্ত) জগন্নাথ জানান, বিষয়টি আমি জানি না। তবে এমনটি হলে তা খুব দুঃখজনক। আমাকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি, আমি খোঁজ নিচ্ছি।