খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনা-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ চলাচল শুরু

রামপালে পুত্রের মামলায় বৃদ্ধা মাতার লাশ উত্তোলন

রামপাল প্রতিনিধি

রামপালে পুত্র শেখ ফরিদ রহমানের করা পিটিশন মামলায় বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ১৪৭ দিন পরে বৃদ্ধা মাতার লাশ উত্তোলন করেছে খুলনার সিআইডি। উপজেলার রোমজাইপুর গ্রামের মো. আব্দুল হক শেখের স্ত্রী মোসাম্মৎ জাহানারা বেগম (৬৬) এর কবর থেকে তার গলিত মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটের আমল আদালত (আড়ংঘাটা থানা) এর নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) বেলা সোয়া ১২ টায় রামপাল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শেখ সালাউদ্দীন দিপু’র উপস্থিতিতে জাহানারার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

জানাগেছে, খুলনার রায়েরমহল পশ্চিমপাড়ায় মোহাম্মদ আ. হকের সাথে বসবাস করতেন তার স্ত্রী জাহানারার বেগম। দীর্ঘদিন সে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। গত ইংরেজি ২৫ তারিখ রাতে ছোট মেয়ে নারগিস খাতুনের ঘরে জাহানারা মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তার লাশ বাগেরহাটের রামপালের রোমজাইপুর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। একমাত্র পুত্র ফরিদ রহমানকে না জানিয়ে মায়ের লাশ দাফন করা হয়েছে এমন অভিযোগে পুত্র বাদী হয়ে গত ইংরাজি ০৬-০৪-২০২৩ তারিখে খুলনার মেট্রোপলিটন আমল আদালতে সিআর ২৯/২৩ নম্বরের একটি পিটিশন মামলা করেন।

বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্যে পত্র দেন। বাগেরহাটের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম রামপালের সহকারী কমিশনার শেখ সালাউদ্দীন দিপুকে উপস্থিত থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনার সিআইডি ইন্সপেক্টর মো, রবিউল ইসলাম উপস্থিত থেকে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী কারে ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠান।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ফরিদ রহমানের সাথে কথা হলে সে জানায়, মা মারা যাওয়ার পর আমাকে না জানিয়ে বাড়ীতে নিয়ে মায়ের লাশ দাফন করে। এতে আমার সন্দেহ হয়। যে কারণে আমি মামলা দায়ের করেছি।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কন্যা নারগিসের সাথে কথা হলে সে জানায়, মায়ের জমি লিখে নিয়ে তার মাকে ভাই ফরিদ তাড়িয়ে দেয়। এক বছর আমার মা আমার কাছে থেকে চিকিৎসা নেয়। আমার স্বামী ইলিয়াস, পুত্র তাহসিন, বোন নাসরিন ও দূর আত্মীয় আ. রাজ্জাক ও আমাদের সবাইকে জব্দ করার জন্যে মামলা করেছে। আমার মা দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের রোগসহ স্ট্রোক করে ছিলেন। তিনি রোগগ্রস্ত হয়েই মারা যান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার শেখ সালাউদ্দীন দিপ জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে বৃদ্ধা জাহানারার লাশ উত্তোলনে খুলনার সিআইডি কে আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদুল




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!