বাগেরহাটের রামপালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষের আঘাতে একই পরিবারের আশি বছরের বৃদ্ধাসহ ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের চকগোনা গ্রামের আশুতোষ অধিকারী (৮০), এবং তার ছেলে গৌরাঙ্গ অধিকারী (৫৪), বিশ্ব অধিকারী (৪৮), শিখর অধিকারী (৩৫) ও বিশ্ব এর স্ত্রী লক্ষী রাণী অধিকারী (৩৪)। আহতদের মধ্যে তিনজন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্রেক্সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি দুজন শিখর ও লক্ষী রাণীকে স্থানীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, গত ১২ ডিসেম্বর ইজিবাইক চালক পঙ্কজ শিকদারকে গৌরাঙ্গ অধিকারী ৪০ টাকা দিয়ে ডিপটিউবল থেকে খাওয়ার পানি নিয়ে আসতে বলেন। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে ইজিবাইক চালক পঙ্কজ শিকদার পানি না নিয়ে আসাতে বিপাকে পড়েন আশুতোষরা। আনুমানিক রাত ১০ টায় হটাৎ চকগোনা গোড়াখালের স্থানীয় অম্বরিষ সরকারের টি -স্টোরের সামনে দেখা হলে পানি না নিয়ে আসার বিষয়টি জানতে চান গৌরাঙ্গ। এসময় কথা কাটাকাটির একপর্যায় ইজিবাইক চালক আচমকা গৌরাঙ্গ অধিকারীকে ঘুষি মারেন। এতে সে জখম হন এবং সাথে সাথে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। উপস্থিত জনতা গৌরাঙ্গকে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। ততক্ষণ পঙ্কজ পালিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
পরে দ্বিতীয় দফায় রাত ১১ টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে নিয়ন্ত্রণে আনেন। চিকিৎসার জন্য আহত আশুতোষ, গৌরাঙ্গ ও বিশ্বকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করা হয়। আর বাকি দু’জন শিখর ও লক্ষীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাসপাতালে ভর্তি আশুতোষ জানান, আমাদের অন্যায়ভাবে মেরেছে। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাদেরকে মামলা ও সাংবাদিককে বিষয়টি জানালে বিভিন্ন ক্ষতি করবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এবিষয় অভিযুক্ত পঙ্কজ শিকদার বলেন, আমার ইজিবাইকে চার্জ ছিলোনা তাই সময়মত তাদের জল দিতে পারিনি। রাতে গোড়াখয়লে গৌরাঙ্গর সাথে দেখা হলে সকালে জল দেওয়ার কথা বলি। কিন্তু সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বিশ্রী ভাষায় গালাগালি করেন। মারামারি নয় ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। হয়তো সেসময় চোখে আঘাত লাগতে পারে। বরং তারাই আমাকে মেরেছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় ৮ নং ইউপি সদস্য উৎপল রায় জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি তবে এধরনের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট কাম্য নয়। আমি আশুতোষদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। লোকমুখে শুনেছি উভয় পক্ষই পারপিট করেছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই