বাগেরহাটের রামপালে তরুনীকে গণধর্ষণের মূলহোতাসহ ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার( ৯ মে) গভীর রাতে বাগেরহাটের রামপাল থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক আসামিরা হচ্ছে, মোঃ আবুল কালাম আজাদ ওরফে শুকুর (২৪), মোঃ আসলাম শেখ(২২), মোঃ জনি শেখ (১৮), মোঃ মারুফ বিল্লা(২২), মোঃ হাসান শেখ(২০), মোঃ রাসেল শেখ(২২), মোঃ হোসেন গাজী(১৮), মোঃ রাজু শেখ(২৪)। সকলেই বাগেরহোট রামপালের ঝনঝনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, গত রবিবার (৮ মে) রামপালে এক গার্মেন্টস শ্রমিক তরুনীকে সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় গার্মেন্টস থেকে ভিকটিম বাড়ি ফেরার পথে ভাগায় তার বন্ধু হৃদয়(২০) এর সাথে দেখা হয়। ভাগা হতে তার বন্ধু হৃদয়ের সাথে চেয়ারম্যানের মোড় থেকে হেঁটে যাওয়ার সময় স্থানীয় মোঃ আবুল কালাম আজাদ ওরফে শুকুর ও মোঃ আসলাম শেখ সহ তাদের সহযোগী ৭/৮ জন আসামিরা ভিকটিমকে টেনে হিচড়ে পরিত্যক্ত মাদ্রাসা মাঠে নিয়ে যায়। তখন ভিকটিমের বন্ধু হৃদয়কে আসামিরা মারধর করে আটকে রাখে এবং গার্মেন্টস শ্রমিক তরুনীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে।
ভিকটিম ডাক-চিৎকারের একপর্যায়ে আসামিরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিম ও তার বন্ধু বিষয়টি ভিকটিমের মাকে ফোন করে জানায়। ভিকটিমের মা তাৎক্ষণিক ঘটনাটি র্যাব-৬ এ অবহিত করে।
ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দলটি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত গণধর্ষণ মামলার আসামিরা রামপাল থানা এলাকায় অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬ খুলনার একটি আভিযানিক দল বাগেরহাটের রামপাল থানা এলাকায় একাধিক অভিযান করে আট আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে তারা জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
আসামিদের বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।