রামাপালে ১২ ঘন্টার ব্যবধানে চিরকুট লিখে রেখে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীসহ দুইজনের আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রামপাল থানায় পৃথক দুইটি অপমৃত্যু মামলার দায়ের হয়েছে।
রামপাল থানার এসআই মো. কামাল হোসেন জানান, উপজেলার তালবুনিয়া মিত্রাবাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদ হাওলাদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রওশন আরা আক্তার সুমাইয়া (১৮) বসত ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। রবিবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ১১ টা থেকে রাত ২ টার মধ্যে সে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটায় বলে জানান। নিহত ছাত্রী সুমাইয়া গিলাতলা আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী। মৃত্যুর পূর্বে সে রংপুরের হৃদয় নামের একটা ছেলেকে ভালোবাসে উল্লেখ করে লিখেছে, সে যদি কোন সময় আসে তবে তাকে যত্ন করবে, তাকে গেন্জী ও ব্রেসলেটটি দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে চিরকুট টি পড়ার টেবিলের উপর রেখে দেয়।
প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে। ময়না তদন্তের জন্যে ওই তরুণীর লাশ বাগেরহাটের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার (২০ মে) বেলা ১১ টায় উপজেলার ডাকরা কুমারখালী গ্রামের মুজিবর শেখের ছেলে আলী আজম (২৭) আত্মহত্যার ঘটনা ঘটায়। সে তার নিজ বাড়ীর শয়নকক্ষের আড়ার সাথে রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে ৬ বছর বয়সী জমজ ছেলে মেয়ের জনক।
তার পিতা মুজিবর রহমান জানান, নিহত আজম বদমেজাজি ছিল। গত ১০ বছর পূর্বে বিয়ের আগে একবার তুঁতে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।
প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্টে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের ধারনা। পরিবারে পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে তদন্ত কার্মকর্তা কামাল হোসেন জানান।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি (তদন্ত) বিধান কুমার বিশ্বাস পৃথকভাবে দুইটি আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর নিহত যুবকের বিষয়ে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে