রামপালে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিবুল আলমের সভাপতিত্বে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মানুষের যান মাল ও গবাদিপশু রক্ষার জন্য এ উপজেলায় ১৬৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ টি স্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে। বাকিগুলো অস্থায়ী কলেজ, স্কুল ও মাদরাসা। আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৭০ হাজার। ২০০ জন সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে ও সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরতদের জন্য শুকনা খাবার, মোমবাতি ও দিয়াশলাই পাঠানো হয়েছে। ১০ ইউনিয়নে ১০ টি মেডিকেল টিম, ১ টি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মতিউর রহমান জানান, আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্যোগ মোকাবিলায় মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। যা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিবুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং থেকে মানুষের যান মাল রক্ষায় আমরা ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমাদের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সার্বিকভাবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। প্রয়োজনে নৌ বাহিনীও জরুরী পরিস্থিতিতে আমাদের সাথে কাজ করবে। সন্ধ্যার মধ্যে মহিলা, বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝড়ের গতিপ্রকৃতির উপর গভীরভাবে নজর রাখা হচ্ছে। এ জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
রোববার দিবাগত মধ্যরাত থেকে রামপাল ৪০ থেকে ৫০ কি মি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। নৌযানগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। মোংলা সমুদ্র বন্দর ও এর আশপাশের এলাকা সমুহকে ৭ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে।