বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের পুরাতন মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে তাদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গুদাম রক্ষক মো. সালাম মিয়াকে শোকজ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস,এম শামীম হাসান লিখিতভাবে তাকে এ শোকজ নোটিশ প্রদান করেন।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ও শোকজ নোটিশের আলোকে জানা গেছে, প্রায় এক বছর পূর্বে ওসিএলএসডি আব্দুস সালাম রামপাল উপজেলা সদরের খাদ্যগুদামে যোগদান করেন। ওই গুদামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুদাম সংস্কার, পুরাতন ওয়াল ভেঙে নতুন ওয়াল নির্মাণ, নলকূপ স্থাপনসহ সংস্কারের কাজ করছে । অভিযোগ রয়েছে, ওই ঠিকাদারের স্থানীয় প্রতিনিধি রাজু আহমেদ, গুদামের পাহারাদার শাহরিয়ার ও ঝাড়ুদার রেজাউলের যোগসাজশে পুরাতন ইট, বালি, খোয়া, রড, এ্যাঙ্গেল, ব্যাটারি, তামার তার, কাটাতার, লোহার পুরাতন গেটসহ অন্যান্য মালামাল আত্মসাৎ করেন। যার অনুমান মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। আরও অভিযোগ রয়েছে গুদামের সিসি ক্যামেরা ট্যাম্পারিং বা বন্ধ করে তারা ওই বিপুল পরিমাণ মালামাল আত্মসাৎ করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওসিএলএসডি আব্দুস সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি কিছু জানি না। ঠিকাদারের ম্যানেজার রাজু আহমেদ জানেন। তবে পুরাতন মালামাল সাংবাদিকদের দেখাতে ব্যর্থ হয়ে বলেন, ভুলত্রুটি নিজেরা বসে মিমাংসা করে নিবো। তিনি নিউজ করতে নিষেধ করেন। তবে শোকজ নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
মুঠোফোনে ঠিকাদার রাজু আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আপনি গুদামঘরে এসে দেখা করুন, স্বাক্ষাতে সব কথা হবে। অভিযুক্ত পাহারাদার শাহরিয়ারও অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাংবাদিকরা ঝাড়ুদার রেজাউলের কাছে ব্যাটারি, রড, এ্যাংগেল, তামার তারসহ খোয়া যাওয়া মালামালের বিষয়ে জানতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে আঙুল উচিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সামনে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
অভিযোগ ও মালামাল খোয়া যাওয়ার বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস, এম শামীম হাসান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, আমি ইট খোয়া যাওয়ার বিষয়ে ওসিএলএসডিকে শোকজ নোটিশ প্রদান করেছি। এর বাইরে অন্য কোন মালামাল খোয়া বা কেউ আত্মসাৎ করলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এছাড়াও সিসি ক্যামেরা নষ্ট বা ইচ্ছাকৃত বন্ধ রেখে মালামাল সরানো হয়েছে এবং অন্য মালামাল খোয়া যাওয়ার বিষয়ে কোন নোটিশ করেননি, এটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখা হবে। কারো কোন গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা। ঘটনাকে আড়াল করতে বা ধামাচাপা দিতে ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তিরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সচেতন মহলের ।
খুলনা গেজেট/ টি আই