খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে সময় ধারালো অস্ত্র হাতে অবস্থান নেওয়া খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারের পর তার অপকর্মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা ক্রস রোড এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান মোল্লা দীর্ঘদিন ধরেই যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নগর যুবদলের শফিকুল আলম তুহিন ও শের আলম সান্টুর নেতৃত্বাধীন কমিটির সময় তিনি ৎদৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে তিনি কমিটিতে নেই। তবে নিজেকে মহানগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিতেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৌলতপুর বিএনপি নেতারা জানান, মাহবুবের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি, মটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১০ এপ্রিল আড়ংঘাটা থানায় ১নং মাদক মামলার কার্যক্রম এখনও চলছে। গত ৫ আগস্টের পর এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি, প্রবাসীদের হয়রানী করে টাকা আদায়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খানজাহান আলী থানায় বিএনপির অপরপক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়ে বর্তমান নেতাদের আস্থাভাজন হন তিনি। এছাড়া কুয়েটের বিভিন্ন দরপত্র নিয়ন্ত্রণ নিতে ইদানিং কুয়েট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন মাহবুব। এজন্য সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে দলবল নিয়ে অস্ত্র হাতে নেমে পড়েন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাম দা হাতে তার ছবি ছড়িয়ে পড়লে তাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি ওঠে। রাতেই তাকে বহিষ্কার করে যুবদল।
কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবেনা। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন ।’
এ ব্যাপারে মাহবুবুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। রামদা হাতে ছবিটি পুরাতন এবং একতরফা নির্বাচন প্রতিহতের সময় ধারণ করা। পুরাতন ছবির কারণে বহিষ্কারের প্রতিবাদ করেননি কেন-প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করবো না।
খুলনা গেজেট/এএজে