স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গাফিলতির দায় নিচ্ছেন না কেউ। দফায় দফায় মুখোমুখি সংঘর্ষ দীর্ঘক্ষণেও নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে আসতে পারায় এবং বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হওয়ায় গাফিলতির দায় নিতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের তীর এই দুই প্রশাসনের বিরুদ্ধেই। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বাভাবিক ক্লাস ও কার্যক্রম শুরু কথা রয়েছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, গত দুই-তিন দিনের ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্য্যশীলতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে। প্রথমদিনের ঘটনায় উভয়পক্ষকে শান্ত করতে আমরা মাঝ বরাবর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছি। এখানে আমাদের পুলিশ প্রশাসনের কোনো গাফিলতি নেই। আর গোলাগুলির যে ঘটনা সেটা সম্পূর্ণভাবে তাদের নিজস্ব বিষয়। ছাত্র এবং ব্যবসায়ীরা পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ফলে অনেকে আহত হন। এছাড়া তারা একে-অপরকে পেট্রলবোমা দিয়ে আঘাত করে আহত করেছে। এখানে পুলিশ কোনোরকম গোলাগুলির ঘটনা ঘটায়নি।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, রাবার বুলেট ছাড়াও পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারতেন। এ ধরনের অতর্কিত হামলার অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সফিকুন্নবি সামাদী বলেন, কোনো একটা জমায়েতকে বিচ্ছিন্ন করতে রাবার বুলেট পর্যন্ত যাওয়ার দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না। এটা আমাদের কাছে খুব বেশি অতি উৎসাহী কার্যক্রম মনে হয়েছে। যত সংখ্যক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে হয়ত কিছুটা কম হতো বা আহত হওয়ার ঘটনাই ঘটত না পুলিশ যদি পূর্বেই কঠোর অবস্থানে যেতে পারত। এটা অবশ্যই গাফিলতি। আমরা চাইব পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতি যারা করেছে তাদের চিহ্নিত করে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থাগ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে গত রবিবার জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুলিশ সদস্যদের রাবার বুলেট, পিলেট ও টিয়ারসেল ছোড়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি জড়িতদের বিধি অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।